বংশগত কারণেও অনেক সময় লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতীকী ছবি।
জীবনযাত্রার অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, মদ্যপানের প্রবণতা, শারীরিক কসরতের অভাব— এমন বেশ কিছু কারণে শরীরে সহজেই বাসা বাঁধছে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা। অল্প বয়সেও এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে কেবল মদ্যপানের কারণেই যে এমন হয়, তা কিন্তু নয়। ফ্যাটি লিভার দু’ধরনের হয়। অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান থেকে লিভারে চর্বি জমলে তা অ্যালকোহলিক ফ্যাট। কিন্তু খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত তেল, ফ্যাট জাতীয় উপাদান বেড়ে গেলে তখন হয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। আবার বংশগত কারণেও অনেক সময় এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সহজে এই লক্ষণ বোঝার উপায় নেই। তবে শারীরিক কিছু পরিবর্তন হয়। সেগুলি লক্ষ করলে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে।
ওজন হ্রাস
খাওদাওয়া নিয়ন্ত্রণ না করে কিংবা কোনও রকম শরীরচর্চা ছাড়াই ওজন কমে যাচ্ছে? তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিনা কারণে ওজন কমে যাওয়া শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
পা ও গোড়ালিতে জ্বালা
পা ও গোড়ালিতে মাঝেমাঝেই জ্বালা ভাব হলে আগে থেকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। শরীরে অ্যালবুমিন প্রোটিনের উৎপাদন কমে গেলে এই রকম সমস্যা হয়। এই প্রোটিন রক্তনালি থেকে অন্যান্য কোষে রক্তের ছড়িয়ে পড়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে এই প্রোটিন তরলের পরিমাণ কমে গেলে তা রক্তনালিকায় জমা হতে শুরু হয়। গোড়ালিতে বা পায়ের পাতায় হালকা জ্বালার অনুভব হলে আগে থেকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
শরীরে ঘন ঘন কালশিটে পড়লে আগে থেকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
পেট ফাঁপা
অনেক দিন ধরে লিভারের কোনও সমস্যা থাকলে তলপেটে তরল জমা হয়ে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই এই পেট ফাঁপার সমস্যায় মাঝেমাঝেই ভুগে থাকেন। সেই সময় পেট ফুলেও থাকে। কয়েক দিন ধরে পর পর এই রকম সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হন।
কালশিটে
শরীরে ঘন ঘন কালশিটে পড়ে কি? তা হলে আগে থেকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লিভার ভিটামিন কে-র সাহায্যে এক ধরনের প্রোটিন উৎপাদন করে, যা রক্তক্ষয় বন্ধ করে যে কোনও ক্ষত তাড়াতাড়ি ঠিক করতে সাহায্য করে। লিভার দূষিত রক্তের কোষগুলিকে বৃদ্ধি পেতে দেয় না। ফলে লিভার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখনই শরীরে এই ধরণের কালশিটে দেখা দিতে পারে বা খুব সহজেই অনেকটা রক্তক্ষয় হয়ে যেতে পারে। যদিও এই উপসর্গ নানা রোগের কারণেই দেখা যা। তাই এমন হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।