সারা বছর ধরেই কাশি নিয়ে নাজেহাল থাকেন অনেকেই। প্রতীকী ছবি।
অফিসে জরুরি মিটিং হচ্ছে। সকলেই বেশ চুপচাপ। হঠাৎ সকলকে চমকে দিয়ে আপনি কেশে উঠলেন। সকলের নজর আপনার দিকে। আপনিও খানিক অপ্রস্তুতে পড়লেন। সিনেমা দেখতে গিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের সময় হঠাৎ আপনার কাশি শুরু হল। বাকি দর্শক তো বটেই, আপনিও যেন খানিক নিজের উপর বিরক্ত হলেন। এমন পরিস্থিতিতে কমবেশি অনেকেই পড়েছেন।
শীত চলে এসেছে। এই মরসুমে কাশি, সর্দির সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তবে শুধু শীতকাল বলে নয়, সারা বছর ধরেই কাশি নিয়ে নাজেহাল থাকেন অনেকেই। কাশি বেশি দিন জিইয়ে রাখা ঠিক নয়। ওষুধ খেয়ে, সুরক্ষা নিয়েও যদি কাশি না কমে তা হলে কিন্তু সে বিষয়ে বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। ঠান্ডা লাগাই কাশির একমাত্র কারণ নয়। কাশির নেপথ্যে থাকতে পারে আরও কিছু মারাত্মক শারীরিক সমস্যা।
ওষুধ খেয়ে, সুরক্ষা নিয়েও যদি কাশি না কমে তা হলে কিন্তু সে বিষয়ে বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজ়মা
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষূধ খাচ্ছেন। ঠান্ডা যাতে না লাগা তারও সব রকম চেষ্টা করছেন। তা সত্ত্বেও যদি কাশি না কমে, তা হলে অতি অবশ্যই অ্যাজ়মা পরীক্ষা করিয়ে নিন। ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজ়মার একটি অন্যতম উপসর্গ হল কাশি।
করোনা
বাড়বাড়ন্ত কিছুটা কমলেও করোনা একেবারে বিদায় নেয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে। করোনার বেশ কয়েকটি উপসর্গের মধ্যে একটি হল কাশি। কোভিড কমে গেলেও কাশি থেকে যাচ্ছে। তাই সুরক্ষা নেওয়া সত্ত্বেও কাশি না কমলে এক বার কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।
ক্যানসার
দীর্ঘ দিন ধরে কাশি হয়েই যাচ্ছে? ঠান্ডা লাগলে এমন হয়ে থাকে। তবে সাধারণ ঠান্ডা লাগা বলে সব সময় কাশির মতো সমস্যা এড়িয়ে না যাওয়াই ভাল। অনেক দিন ধরে কাশি না কমার আরও একটি কারণ হল ফুসফুসের ক্যানসার। ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে কোনও কারণ ছাড়াই কাশি হতে দেখা যায়। প্রায় বছরভর লেগে থাকে কাশির সমস্যা।
টিবি
দীর্ঘ দিন ধরে কাশি না কমার আরও একটি কারণ হতে পারে টিউবারকিউলোসিস বা টিবি বা যক্ষ্মা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি মানেই যক্ষ্মা নয়। তবে যক্ষ্মা মানে কিন্তু কাশি। জ্বর, শারীরিক দুর্বলতার পাশাপাশি যক্ষ্মা রোগের অন্যতম একটি উপসর্গ খুসখুসে কাশি। বেশি বাড়াবাড়ি হলে আবার কাশির সঙ্গে রক্তও ওঠে। তেমনটা হলে তো বটেই, তা ছাড়াও অনেক দিন ধরে কাশির সমস্যা থাকলে একেবারেই ফেলে রাখবেন না। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।