শহুরে খাদ্যাভাসে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের আধিক্য থাকে। ছবি: শাটারস্টক
বাড়িতে কারও ডায়াবিটিস থাকলে পরিবারের ছোট সদস্যদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। এ ক্ষেত্রে পরিবারের ছোটদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের মতে, টাইপ-১ ডায়াবিটিসের জেরে শিশুদের বার বার মূত্রত্যাগ, অতিরিক্ত খিদে, তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঘন ঘন ভাইরাল সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে পড়াশোনা, খেলাধুলো-সহ নানা কাজে।
শহুরে খাদ্যাভাসে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের আধিক্য থাকে। জলখাবারে শিশুদের পছন্দের তালিকায় থাকে চকোলেট, কর্নফ্লেক্স। সন্ধ্যা হলেই ম্যাগি, মোমো, চিপ্স, বার্গার। এতেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তার উপরে অধিকাংশ শহুরে শিশু, কিশোর-কিশোরী ইদানীং খেলাধুলোয় অভ্যস্ত নয়। অবসর সময়ে তারা ভিডিয়ো গেম খেলে কিংবা ইন্টারনেটেই সময় কাটায়। এই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জেরেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
শিশুদের মধ্যে কোন কোন লক্ষণ দেখলে ডায়াবিটিস বিষয়ে সতর্ক হবেন?
১) খুদের কি বার বার জল তেষ্টা পাচ্ছে? এটি কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ। ডায়াবিটিসের কারণে জিভে লালার পরিমাণ কমে যায়। সেই কারণে গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যাও হয়। ডায়াবিটিসের মাত্রা অনেক বেড়ে গেলে থাকলে তা থেকে গলায় জ্বালা, আলসার, সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে।
২) শিশুর দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে? এর কারণ কিন্তু কেবল টিভি দেখার বা মোবাইল ঘাঁটা না-ও হতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদেরও চোখের সমস্যা হতে পারে।
বার বার প্রস্রাব করাও কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ। ছবি: শাটারস্টক।
৩) খুদের দাঁত মাজতে গিয়ে দেখছেন মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে? আপনি হয়তো ভাবছেন ব্রাশ বদলাতে হবে। ডায়াবিটিস থাকলেও কিন্তু মাড়িতে প্রদাহ হয় এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। শিশুর মুখের ভিতরের অংশ, জিভে মাঝেমাঝেই ঘা হলে বা জ্বালা করলে বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না। ডায়াবিটিসের কারণে এমন হতেই পারে।
৪) বার বার প্রস্রাব করাও কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ। সন্তান যদি বার বার বাথরুমে যায়, তা হলে বুঝতে হবে তার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েছে।
৫) শিশুর শরীরে মাঝেমধ্যেই র্যাশ বেরোচ্ছে? গা-হাত-পায়ে কালো ছোপ পড়ছে? তা হলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে।