সকালে খালি পেটে কোন জল খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে জল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তাতে না কি অনেক রোগ সেরে যায়। অনেকেই এমনটা বিশ্বাস করেন। এ ভাবনা যে একেবারে ভুল, তা-ও বলা যায় না। কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যা কিংবা অ্যাসিডিটি— বশে রাখা যায় এই অভ্যাসে। জল খেলে বিপাকক্রিয়াও ভাল হয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, খালি পেটে জল খাওয়া ভাল বলেই তা মাত্রাছাড়া ভাবে খাওয়া যায় না। জল খেতে হবে পরিমাণ বুঝে। অভ্যাস না থাকলে শুরুতে ১ গ্লাস জল খাওয়াই ভাল। পরে ২-৩ গ্লাস জল খাওয়া যেতে পারে। তবে সাধারণ তাপমাত্রার জল না কি ঈষদুষ্ণ জল— কোনটা বেশি উপকারী?
পুষ্টিবিদদেক মতে, খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জল খাওয়ার অভ্যাস সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গরম জল শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে। ফলে হজমের সমস্যা থেকে রেহাই মেলে। এ ছাড়া খালি পেটে গরম জল পান করলে শরীর থেকে টক্সিনও দূর হয়ে যায়।
অনেকেই মেদ ঝরাতে ভরসা রাখেন এই উপায়ের উপর। পুষ্টিবিদদের যদিও বক্তব্য, ওজন ঝরানোর সঙ্গে সকালে গরম জল খাওয়ার সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই।
তা হলে রোজ ঈষদুষ্ণ জল খাবেন কেন?
১) প্রতি দিন সকালে খালি পেটে গরম জল পান করলে রক্ত পরিশোধিত হয়। খালি পেটে অন্তত তিন গ্লাস গরম জল পান করলে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়।
২) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খালি পেটে গরম জল পান করলে বেশ উপকার মেলে।
৩) গরম জল ঋতুঃস্রাবের সমস্যা দূর করতে পারে। পেটের পেশির নমনীয়তা বাড়ায় ফলে এই সমস্যা দূর হয়।
৪) ঠান্ডা লাগা, বুকে কফ জমে যাওয়া এবং গলা ব্যথার অব্যর্থ দাওয়াই গরম জল। গরম জল কফ তরল করে বের করে দেয়। এ ছাড়া নাকের পথ পরিষ্কার রাখে।
৫) গরম জল চুলের গোড়ায় থাকা স্নায়ুগুলি সক্রিয় করে চুল শক্ত করে। ফলে চুল লম্বা হয় ও উজ্জ্বল থাকে।
৬) খালি পেটে জল পান করলে ত্বকও ভাল হয়। ব্রণর সমস্যাও দূর হয়।
৭) দাঁতের ব্যথাতেও গরম জল দারুণ উপকারী। মারি ফুলে গেলে কিংবা দাঁতে ব্যথা হলে গরম জল দিয়ে ব্রাশ করুন। গরম জল খেলেও উপকার পাবেন।