রোগা হতে কোনটি বেশি করে করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চার জুড়ি মেলা ভার। জিমে গিয়ে লোহালক্কড় টানুন কিংবা বাড়িতে বসে যোগাসন— ফিট থাকতে শরীরচর্চার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। শরীরচর্চার ধরন যেমনই হোক, নিষ্ঠা নিয়ে করলে উপকার মিলবেই। ওজন ঝরাতে নিয়মিত হাঁটতে যান অনেকে। হাঁটাহাঁটির সত্যিই বহু উপকার আছে। আবার ওজন ঝরাতে কেউ ভরসা রাখেন যোগাসনে। অনেকে আবার সারা সপ্তাহে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দু’টিই করেন। কিন্তু ওজন ঝরাতে কোন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কার্যকর?
ওজন কমাতে তো বটেই, সুস্থ থাকতে হাঁটাচলা করা জরুরি। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কিছু ক্ষণ হাঁটাহাঁটি যদি জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠতে পারে, তা হলে আর সুস্থ থাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। হাঁটলে মেদ ঝরে দ্রুত। শরীরে জমে থাকা ক্যালোরিও ঝরে যায় হাঁটাচলা করলে। হেঁটে ওজন ঝরানোর মস্ত একটি সুবিধা হল সব বয়সের মানুষের পক্ষে এটি সম্ভব। ৫০-এর পর জিমে গিয়ে শরীরচর্চা সম্ভব না হলেও হেঁটে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ।
ছিপছিপে চেহারা পেতে শুধু যোগাসন করারও সুফল বহু। নিয়মিত যোগাসন করতে পারলে ওজন কমানোর পথ মসৃণ হয় অনেকটা। রোজ নিয়ম করে যোগাসন করলে হাতের মুঠোয় থাকবে ওজন। উদ্বেগজনিত সমস্যাও কমবে। তাই রোগা হওয়ার পর্বে যোগাসনের গুরুত্ব অপরিসীম।
হাঁটাচলা না কি যোগাসন, রোগা হতে চাইলে কোনটির উপর বেশি জোর দেবেন, বুঝতে পারেন না অনেকেই। গবেষণা বলছে, ওজন ঝরাতে দুটোই কার্যকরী। তবে শরীরে জমে থাকা মেদ দ্রুত ঝরাতে হাঁটাচলা করা বেশি জরুরি। অন্য দিকে, পেশির গঠন সুদৃঢ় করতে, পেশির নমনীয়তা বজায় রাখতে, বিপাকহার বৃদ্ধি করতে যোগাসন করার কোনও তুলনা নেই।
তার মানে এই নয় যে, এত দিন ধরে রোগা হওয়ার জন্য যিনি যোগাসনের উপর ভরসা রেখেছিলেন, সেই পরিশ্রম বৃথা হয়ে গেলে। হাঁটাচলা হোক বা যোগাসন, ফিট থাকতে যা-ই করুন, সেটাই কার্যকর হবে। তবে কী ধরনের শরীরচর্চা করছেন, তার উপর নির্ভর করছে কত তাড়াতা়ড়ি রোগা হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন।