কয়েকটি নিরামিষ খাবারেও ভিটামিন বি১২ রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
শরীর যত্নে রাখে যে উপাদানগুলি, ভিটামিন বি১২ তার মধ্যে অন্যতম। এই ভিটামিন হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে, স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি কমায়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সচল রাখে, শরীরে ভিতর থেকে শক্তি জোগায়, রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে। সুস্থ জীবনযাপন করতে এই ভিটামিন কতটা উপকারী, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ভিটামিন বি১২ সাধারণ মাছ, মাংস, ডিমে বেশি করে থাকে। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা নিরামিষ খান। আমিষ কোনও খাবার ছুঁয়েও দেখেন না অনেকে। অধিকাংশ আমিষ খাবারেই ভিটামিন বি১২ থাকলেও, কম হলেও কয়েকটি নিরামিষ খাবারেও কিন্তু এই ভিটামিন রয়েছে। ভিটামিন বি১২ পেতে হলে সেগুলি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়া জরুরি।
পালং শাক
বর্ষায় শাকপাতা খেতে বারণ করা হয় ঠিকই। তবে তাই বলে একেবারে শাকপাতা থেকে দূরে থাকতে হবে, তারও কোনও মানে নেই। বর্ষা হোক কিংবা শরৎ, সুস্থ থাকতে পালং শাক খাওয়া জরুরি। তার আরও একটি কারণ হল, এই শাকে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২। নিরামিষাশীদের জন্য পালং শাক সত্যিই খুব স্বাস্থ্যকর।
গ্রিক ইয়োগার্ট
গ্রিক ইয়োগার্টের চেয়ে টক দই অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে ভিটামিন বি১২ পেতে হলে অবশ্য গ্রিক ইয়োগার্ট খেতে হবে। গ্রিক ইয়োগার্ট খেতেও বেশ সুস্বাদু। তবে কিছু সংস্থার গ্রিক ইয়োগার্টে আলাদা করে চিনি মেশানো থাকে, তাই কেনার সময়ে উপকরণের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া জরুরি।
বিট
ভিটামিন বি১২-এর সমৃদ্ধ উৎস হল বিট। নিরামিষ যাঁরা খান, অন্যান্য সব্জির সঙ্গে বিটও খেতে হবে নিয়ম মেনে। তবেই ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। বিট অনেকেই খেতে চান না। তবে বিট ভাজা কিংবা বিটের স্যুপ কিন্তু মন্দ লাগে না।
গরুর দুধ
দুধে কোনও সমস্যা না থাকলে শরীরে ভিটামিন বি১২-এর পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে। দুধে ক্যালশিয়াম ছাড়াও ভিটামিন বি১২ রয়েছে। দিনে ছোট কাপের দু’কাপ মতো দুধ খেলে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি তৈরি হবে না।
সয়াবিন
ভিটামিন বি১২ ভরপুর পরিমাণে রয়েছে সয়াবিনে। তাই নিরামিষ খাচ্ছেন মানেই শরীরে ভিটামিন বি১-এর ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, বিষয়টি এমনও নয়। প্রতি দিন না হলেও মাঝেমাঝেই সয়াবিন খেলেও উপকার পাবেন।