উদ্বেগের সেই অর্থে কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায় না। প্রতীকী ছবি।
প্রতিযোগিতা আর ইঁদুর দৌড়ের জীবনে উদ্বেগ হল অন্যতম সঙ্গী। কর্মক্ষেত্র থেকে ব্যক্তিগত পরিসর, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উদ্বেগে ডুবে থাকেন অনেকেই। উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা নিরন্তর করে গেলেও, মুক্তি পান কম জনেই। কারণ কোনও একটি বা একাধিক বিষয় নিয়ে উদ্বেগের জন্ম হলে তা সহজে যেতে চায় না। মনের মধ্যে একটা অস্বস্তি চলতেই থাকে। আবার অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তিনি আসলে উদ্বেগে রয়েছেন। অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মতো উদ্বেগের তো সেই অর্থে কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ফলে মনের মধ্যে চিন্তার বীজ বড় হতে থাকলেও অনেকেই তা বুঝে উঠতে পারেন না। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, অন্তর্মুখীরা সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে ভোগেন। হৃদ্স্পন্দনের হার বেড়ে যাওয়া, ঘেমে যাওয়া, কোনও কাজে মন দিতে না পারা হল উদ্বেগজনিত সমস্যা। তবে এগুলি ছা়ড়াও উদ্বেগের কারণে আরও বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তবে সেগুলির নেপথ্যে যে উদ্বেগ আছে, তা অনেকেই জানেন না।
১) উদ্বেগে থাকলে কোনও শব্দ, আলো, হইচই, একেবারেই ভাল লাগে না। এমনকি, চ়ড়া কোনও গন্ধ কিংবা কাছের মানুষের স্পর্শও বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে।
২) চুল ঝরার পরিমাণ কমবেশি সকলেরই আছে। তবে কোনও কারণ ছাড়াই চুল ঝরতে শুরু করলে এক বার মনের যত্ন নেওয়া জরুরি। উদ্বেগের কারণেও চুল উঠতে পারে।
৩) বাইরের খাবার খান না, পরিমাণ মতো জলও খান, তা সত্ত্বেও গ্যাস-অম্বল হচ্ছে? উদ্বেগের কারণেও এমনটা হতে পারে। উদ্বেগে থাকলে গ্যাস-অম্বল বেশি হয়। তাই ঘন ঘন গ্যাসের ওষুধ না খেয়ে বরং শান্ত হওয়া জরুরি।
৪) উদ্বেগে থাকলে তার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায়। র্যাশ, ব্রণও হয়। ত্বকে হঠাৎ এমন কোনও পরিবর্তন এলে সতর্ক হোন।
৫) খাবার খাওয়ার প্রতি অনীহার কারণ হতে পারে মানসিক উদ্বেদ। প্রিয় খাবার দেখেও খেতে ইচ্ছা না করা কিংবা খিদে না পাওয়ার নেপথ্যেও মানসিক উদ্বেগ থাকতে পারে।