শৌচালয়ে ফোন নিয়ে যাওয়া উচিত নয় কেন? ছবি: শাটারস্টক।
চোখ খুললেই হাতে উঠে আসছে মোবাইল। দিন-রাতের বেশির ভাগ সময়ে মন থাকছে তাতেই। যত ক্ষণ না ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসে, নজর শুধু মোবাইলে। এ ছবি এখন ঘরে ঘরেই। ডিজিটাল দুনিয়ায় ডুবছে আট থেকে আশি। চোখের তো বারোটা বাজছেই, কাজেও দেখা দিচ্ছে মনোযোগের অভাব। দিনের একটা বড় সময় কাটে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে। খেতে বসা, ঘুমোতে যাওয়া, যানবাহনে যাতায়াত তো আছেই, শৌচালয় গিয়েও অনেকে মোবাইল ফোন হাতছাড়া করতে চান না।
শৌচালয়ে বসে ফোন ঘাঁটা তাৎক্ষণিক আনন্দ দেয়। কিন্তু একটু হিসাব করলেই বোঝা যায়, শৌচালয়ের কাজ যত ক্ষণে সেরে বেরোনোর কথা, তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগে যায় হাতে ফোন থাকলে। কারণ বেখেয়ালে কেটে যায় লম্বা সময়। কিন্তু শুধুই সময়ের অপচয়, না কি আরও অনেক কিছু? শৌচালয়ে ফোন হাতে বসে থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে? রইল সন্ধান।
১) শৌচালয়ে নানা ধরনের জীবাণু থাকে। সালমোনেলা, বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাক শৌচালয়ে বেশি মাত্রায় বাসা বাঁধে। কারণ এর আর্দ্র পরিবেশ। তার মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকলে সেই সব অতিসক্রিয় জীবাণু ফোনেও নিজেদের বংশবিস্তার করে। পরে এগুলিই নানা ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
২) শৌচালয়ে ফোন নিয়ে যাচ্ছেন মানে, পুরো মনোযোগটাই ফোনের উপর পড়ছে। ঘাড় ঝুঁকিয়ে ফোনের দিকে টানা তাকিয়ে থাকার ফলে ঘাড় ও শিরদাঁড়ার ক্ষতি হয়। পিঠের যন্ত্রণা বেড়ে যায়।
৩) শৌচালয়ে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস শরীরের স্বাভাবিক অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপে ব্যাঘাত ঘটায়। এর ফলে অন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকার অভ্যাস অর্শের মতো রোগও ডেকে আনে।
৪) সারা দিন বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে। এর পরে বাড়ি ফিরে শৌচালয়ে ঢুকলেন ফোন নিয়ে। এতে বিশ্রামের সময় কমে যেতে পারে। তা ছাড়া ফোনের আলোও ঘুম কমিয়ে দেয়। তাতে ক্লান্তির মাত্রা বাড়তে থাকে।
৫) সারা দিনে বিভিন্ন কারণে মোবাইলের দিকে নজর রাখতে হয়। আর এই অভ্যাসের মারাত্মক প্রভাব পড়ে চোখের উপর। শৌচালয় গিয়েও ফোনে স্ক্রোল করতে থাকলে চোখের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।