Insomia

Insomnia: রাতে ঘুম আসে না? আরাম পেতে জীবনে আনুন ছোট্ট দু’টি পরিবর্তন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম না হলে দেখা দিতে পারে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২২ ১৭:৪৯
Share:

ঘুম ভাল হবে কোন উপায়ে ছবি: সংগৃহীত

পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থ জীবনের অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি। ঘুমের সমস্যা বাড়তে থাকলে দেখা দিতে পারে স্থায়ী অনিদ্রার সমস্যাও। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘ইনসমনিয়া’। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেমন তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে পারেন না, তেমনই এক বার ঘুম ভেঙে গেলে ফের ঘুমাতে মারাত্মক অসুবিধা বোধ করেন তাঁরা। কাজেই ঘুমের সমস্যা অবহেলা করা যাবে না কোনও মতেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন রোজকার জীবনচর্চায় মাত্র দু'টি বিষয় যোগ করতে পারলেই, সমাধান হতে পারে অনিদ্রার সমস্যার।

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

নিয়মিত শরীরচর্চা: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে যেমন ঘুম তাড়াতাড়ি আসে, তেমনই এক বার ঘুমিয়ে পড়লে ঘুম ভাঙে দেরিতে। কারও কারও মতে শরীরচর্চার সময় দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। শরীরচর্চার পর সেই তাপমাত্রা কমতে থাকে। ঘুমিয়ে পড়ার সময় যে ভাবে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা হ্রাস পায়, তার সঙ্গে এই তাপমাত্রা হ্রাসের মিল রয়েছে। পাশাপাশি দিন-রাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেহে তৈরি হওয়া ‘সার্কাডিয়ান’ চক্র ভাল রাখতেও শরীরচর্চার জুড়ি মেলা ভার। আর এই সব ক'টি বিষয়ই অনিদ্রা দূর করতে সহায়তা করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

স্বল্প সময়ের ঘুম: লম্বা সময় ঘুমিয়ে থাকার চেষ্টা করার বদলে কিছু ক্ষণ পর পর, অল্প সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে কিছুটা হলেও দূর হতে পারে অনিদ্রার সমস্যা। অনেকেরই দুপুরে ভাতঘুম দেওয়ার অভ্যাস থাকে। এই সময় দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকলে ঘুম তো হয়ই না, উল্টে দুপুরের দীর্ঘ ক্ষণ শুয়ে থাকার ফলে রাতে ঘুম আসতে চায় না। পাশাপাশি কিন্তু মাঝে মধ্যে কিছু সময় ঘুমিয়ে নিতে পারলে ক্লান্তি ও মানসিক চাপের সমস্যাতেও কিছুটা আরাম মিলতে পারে। যা পরোক্ষ ভাবে অনিদ্রার সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement