সর্দির দাওয়াই হেঁশেলেই লুকিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
কিছুতেই ছন্দে ফিরছে না মহানগরের আবহাওয়া! সঙ্গে আমজনতার স্বাস্থ্যও। রাস্তার ধারে চায়ের ঠেক হোক বা অফিসের ডেস্ক কিংবা ট্রেনের কামরা— খুকখুক করে কাশছেন অনেকেই। কেউ নাক টানছেন, কেউ আবার নাক ঝাড়ছেন। মরসুম বদলের সময়ে এটা পরিচিত ছবি।
সাধারণ সর্দি-কাশি হলে তা নিরাময়ের হাজার একটা উপায় আছে। কাশতে কাশতে সর্দি উঠে বেরিয়ে গেলেও খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু এই শ্লেষ্মা যখন শুকিয়ে গিয়ে গলার কাছে আটকে যায়, তখনই সমস্যা শুরু হয়। শুতে গেলেই মনে হয়, গলার কাছে কিছু আটকে আছে। আবার সারা দিন নানা কাজের মধ্যেও তাই। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও রয়েছে।
দুপুরের দিকে জোরে পাখা চালাতে হচ্ছে, সন্ধ্যা পড়তেই আবার গায়ে হালকা চাদর জড়ানোর প্রয়োজন পড়ছে। আর এই সময়েই মরসুমি সর্দি-কাশির প্রবণতা বাড়ে। এ রকম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে সাধারণ ক্ষেত্রে কাশির ওষুধ খেয়েও তেমন লাভ হচ্ছে না? কাশি, গলাব্যথা ও সর্দি কমাতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়। রোজ নিয়ম করে হলুদ দুধ খেয়ে দেখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণ হলুদ দুধ নয়, তাতে মেশাতে হবে আরও কিছু উপাদান।
কাশি, গলাব্যথা ও সর্দি কমাতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
দুধ: ১ কাপ
হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
মধু: ১ টেবিল চামচ
সসপ্যানে দুধ ভাল করে গরম করে নিয়ে তার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে আরও খানিক ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এ বার গ্লাসে হলুদ মেশানো দুধ ঢেলে তার সঙ্গে গোলমরিচের গুঁড়ো ও মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গোলমরিচ মিউকাস তৈরিতে বাধা দেয়। গলাব্যথা, সর্দি-কাশি কমাতে তাই এই টোটকায় ভরসা রাখতেই পারেন।