Period Pain Relief Remedy

পেটে যন্ত্রণা, ঋতুস্রাবজনিত কষ্টের ঘরোয়া টোটকা হতে পারে খেজুর, কী এমন আছে এই ফলে?

ঋতুস্রাবের কষ্ট বশে রাখতে গরম সেঁক দেন, ভেষজ চা খান অনেকে। সে সব টোটকায় কাজ না হলে ব্যথানাশক ওষুধের উপরেও ভরসা করতে হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ১৪:০২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

প্রতি মাসে ঋতুস্রাবে কষ্টে জর্জরিত হন। সেই অস্বস্তি নিয়েই ঘরে-বাইরে কাজ করতে হয় মহিলাদের। গরম সেঁক দিয়ে, ভেষজ চা খেয়ে কাজ না হলে ব্যথানাশক ওষুধের উপরেও ভরসা করতে হয় অনেককে। তবে এই ধরনের কষ্ট উপশম করতে বহু পুরনো নিদান হল খেজুর। রক্তাল্পতা, অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগা শিশু, মহিলাদেরও খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ঋতুস্রাবের সমস্যা বশে রাখতে এই ফলটি কী ভাবে কাজ করে?

Advertisement

১) খেজুরে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বেশি। এই খনিজটি ঋতুস্রাবজনিত সমস্যায় আরাম দেয়। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ উইমেন্স হেলথ অ্যান্ড রিপ্রোডাকশন সায়েন্সস’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে ১৫০ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম খেতে পারলে এই ধরনের কষ্ট অনেকটা প্রশমিত হয়।

২) ঋতুস্রাবের সময়ে বহু মহিলাই পেটফাঁপা বা ‘ব্লোটিং’-এর সমস্যায় ভোগেন। ‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই ধরনের সমস্যা নিরাময় করতে পারে ফাইবার-যুক্ত খাবার। শুধু তা-ই নয়, ঋতুস্রাবে সহায়ক ইস্ট্রোজেন হরমোনের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। খেজুরে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই ঋতুস্রাবজনিত কষ্ট এড়াতে ডায়েটে খেজুর রাখা যেতেই পারে।

Advertisement

৩) খেজুর তো এমনিতেই মিষ্টি। তবে খেজুরে রয়েছে সুক্রোজ়, ফ্রুক্টোজ় এবং গ্লুকোজ়। এই ধরনের প্রাকৃতিক শর্করা ক্ষতিকর নয়। উল্টে হরমোনের হেরফেরে ঋতুস্রাবজনিত অস্বস্তি, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া বা ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে খেজুর।

৪) ‘জার্নাল অফ ওবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গায়নেকোলজি রিসার্চ’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রদাহজনিত কারণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেড়ে গেলে ঋতুস্রাবের কষ্টও বেড়ে যায়। খেজুরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।

৫) অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। কারণ, খেজুরে রয়েছে আয়রন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে মাথাধরা, বমি, ক্লান্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement