—প্রতীকী চিত্র।
সারা দিনে আলাদা করে রপচর্চার সময় হয় না। তাই রান্না করতে করতে হেঁশেলের জিনিসপত্র মুখে মেখে নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কেউ একটু বেসন, টক দই বা মধু, পাতিলেবুর রস মাখেন। কেউ আবার শসা, টম্যাটো বা আলুর টুকরো মুখে ঘষে নেন। কিন্তু খানিকটা কুমড়ো যদি মুখে ঘষে নেন, তাতে কি ত্বকের খুব উপকার হবে? রূপচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, হবে। কুমড়ো মাখলে নিষ্প্রাণ ত্বকও জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
কুমড়োতে কী এমন আছে?
পাকা কুমড়োতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। নিয়মিত মুখে কুমড়ো মাখলে ত্বকের জেল্লা ফেরে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, ই, সি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জ়িঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং বিটা-ক্যারোটিনের মতো নানা ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। যেগুলি শরীরের তো বটেই, ত্বকের যত্নেও বিশেষ ভাবে কার্যকর। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কুমড়ো ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়তে দেয় না। বিটা ক্যারোটিন ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন, অর্থাৎ কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে ত্বকের ক্ষতি রোধ করে জ়িঙ্ক।
কুমড়ো দিয়ে এই মাস্ক তৈরি করবেন কী ভাবে?
মিক্সিতে কয়েক টুকরো পাকা কুমড়ো, ১ চা চামচ মধু এবং এক চিমটে দারচিনি ভাল করে বেটে নিন। এ বার হাত, মুখ, গলা, ঘাড়ে মেখে নিন এই মিশ্রণ। মিনিট পনেরো রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মিশ্রণ পরিমাণে অনেকটা থাকলে বায়ুরোধী পাত্রে ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহখানেক ভাল থাকবে।