ছবি- সংগৃহীত
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পড়াশোনা বা পেশাগত কারণে ইদানীং একটু বেশি বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। পরিবার বাড়ানোর পরিকল্পনা তাঁদের আরও পরে। পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল না থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিগত ভাবেই মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। তার উপর কর্মব্যস্ত জীবনে বেড়ে চলা মানসিক চাপ, জীবনযাত্রায় অনিয়ম, শরীরে বিভিন্ন রোগের হানা— নানা কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই সন্তানধারনের সময়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়। শেষমেশ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতিতেও সমস্যার সমাধান করা যায় না। তখন আরও উন্নত পদ্ধতির শরণাপন্ন হতে হয়। যা বেশ সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুলও বটে। তবে কিছু খাবার আছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে বাড়তে পারে সন্তানধারণের ক্ষমতা।
কোন কোন খাবার খেলে লাভ হবে, রইল তার হদিস।
১) সূর্যমুখী ফুলের বীজ
সেলেনিয়াম, ফোলেট, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ যৌগগুলি রয়েছে এই বীজে। সন্তানধারণের জন্য এই যৌগগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুধু মেয়েদের নয়, পুরুষদের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে উপকারী সূর্যমুখী ফুলের বীজ।
২) ভিটামিন সি জাতীয় ফল
স্ট্রবেরি, আঙুর এবং যে কোনও লেবুজাতীয় ফলেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু দুইয়ের মান উন্নত করতে প্রতি দিনই ভিটামিন সি খাওয়া জরুরি।
৩) চিজ়
বন্ধ্যত্ব শুধু মেয়েদের নয়, পুরুষদের ক্ষেত্রেও বেশ চিন্তার। পুরুষদের শরীরে শুক্রাণুর পরিমাণ কম থাকলেও সন্তানধারণে সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, শুক্রাণুর স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে ভাল মানের, পুরনো চিজ়।
৪) দুগ্ধজাত খাবার
হালের গবেষণা বলছে, যে সকল মহিলা দই, পনির, ছানা, চিজ়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খান, তাঁদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা অনেকটাই কম। সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
৫) ডাল এবং বিনস্
সন্তানধারণের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলির ভারসাম্য রক্ষা করতে ফাইবার, ফোলেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই দু’টি যৌগের প্রধান উৎসই হল বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং বিন্স।