স্ট্রোকে আক্রান্ত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কোমায় রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। ছবি: সংগৃহীত
স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলশনে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেত্রীকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কোমায় রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। প্রাণোচ্ছ্বল অভিনেত্রীর এমন অবস্থায় চমকে উঠেছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, আকস্মিকতাই স্ট্রোকের ধর্ম। তাই বিন্দুমাত্র লক্ষণ দেখা দিলে দেরি করার উপায় নেই।কোন লক্ষণে চিনবেন স্ট্রোক?
আমাদের দেশে প্রচলিত ধারণা আছে, স্ট্রোক হৃদ্যন্ত্রের রোগ। আসলে তা নয়। স্ট্রোক সম্পূর্ণ মস্তিষ্কের বিষয়। মস্তিষ্কের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা রক্তনালি ছিঁড়ে রক্তক্ষরণই স্ট্রোকের কারণ।
মস্তিষ্কের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা রক্তনালি ছিঁড়ে রক্তক্ষরণই স্ট্রোকের কারণ। প্রতীকী ছবি।
স্ট্রোক হয়েছে কি না তা বুঝতে ‘এফএএসটি’ বা ‘ফাস্ট’ বলে একটি পরীক্ষা করা হয়। এর প্রতিটি অক্ষরের একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে।
‘এফ’ বা ফেসিয়াল ড্রুপিং: হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়া স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। সাধারণত মুখের এক দিক ঝুলে যায়। কথায় জড়তা দেখা দেয় বা কথা বলতে সমস্যা হয়। দেখে মনে হতে পারে রোগী মুখ বেঁকিয়ে হাসছেন।
‘এ’ বা ‘আর্ম উইকনেস’: হাতের আকস্মিক দুর্বলতাও স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীকে দুই হাত একই সঙ্গে সামনের দিকে তুলতে বলা হয়। স্ট্রোক হলে এক হাত অন্য হাতের তুলনায় বেশি ঝুঁকে থাকে।
‘এস’ বা ‘স্পিচ’: হঠাৎ করে কথা বলার সমস্যা দেখা দিলেও হতে হবে সতর্ক। স্ট্রোক হলে খুব সরল কোনও বাক্য গঠন করতেও সমস্যা তৈরি হয়। ধরুন ‘পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা’ এ রকম কোনও বাক্য গঠন করতেও হতে পারে সমস্যা।
‘টি’ বা ‘টাইম’: এটি সেই অর্থে কোনও লক্ষণ নয়। বরং সচেতনতার পাঠ। স্ট্রোকের ক্ষেত্রে দু’টি সময় খুবই জরুরি। প্রথমত কোন সময়ে স্ট্রোক হচ্ছে তা ঠিক ভাবে আন্দাজ করা, যাতে চিকিৎসককে বলা যায়। আর দ্বিতীয়ত, অল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া।
এই সমস্যাগুলি ছাড়াও, হাঁটতে অসুবিধা হওয়া, ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, চারদিক অন্ধকার লাগা কিংবা অসহ্য মাথাব্যথার সঙ্গে বমি হওয়া ও প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারাও স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের কোনও লক্ষণ দেখলেই দেরি না করে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে।