জীবনযাপন হোক সুস্থ, ওজন থাকুক নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত
সামনেই নতুন বছর। নিজের চেহারা হোক কিংবা মতাদর্শ, বর্ষবরণের আনন্দে মেতে ওঠার পাশাপাশি এগুলিতেও পরিবর্তন আনতে চান অনেকেই। যাঁরা একটু স্বাস্থ্য-সচেতন, নতুন বছরে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী করবেন ইতিমধ্যেই তা পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। তবে মাথায় রাখবেন ওজন কমাতে গিয়ে যেন হিতে বিপরীত না হয়। জীবনযাপন হোক সুস্থ, ওজন থাকুক নিয়ন্ত্রণে।
অল্প খান, তবে উপোস করে থাকবেন না
নতুন বছরে ওজন কমিয়ে নিজেকে নতুন রূপে দেখতে চান? তার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করুন, জিমে যান তবে না খেয়ে থাকবেন না ভুলেও। না খেলে শরীরের বিপাক হার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খান। এক সঙ্গে অনেকটা ভারী খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি করে এমন খাবার থেকে দূরে থাকুন
শরীরের হাল ফেরাতে প্রোটিন খেতে গিয়ে নিয়মিত মাছ, মাংস, বা ডিম খাবেন না। এতে অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। গ্যাসের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ শাক-সব্জি ও সতেজ ফল।
ওজন কমাতে শুধু তরল খাবার নৈব নৈব চ ছবি: সংগৃহীত
শর্করা জাতীয় খাবার খেতে পারেন অল্প পরিমাণে
শরীরকে সুস্থ রাখতে পুষ্টিবিদরা সাধারণত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার এবং শর্করা জাতীয় খাবার কম খাওয়ার কথা বলেন। তবে যাঁদের রক্তে চিনির পরিমাণ কম তাঁরা মাঝেমাঝে শর্করা জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
ওজন কমাতে শুধু তরল খাবার নৈব নৈব চ
অনেকেই মনে করেন, তরল খাবার খেলে বোধহয় দ্রুত কমবে ওজন। এটি একেবারের ভুল ধারণা। স্যুপ, জুস ইত্যাদি পানীয় বা তরল জাতীয় খাবারের উপর ভরসা করে থাকলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রোজের খাবারে থাকুক অল্প কার্বোহাইড্রেট
তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে অনেকেই নিয়মিত খাবারের তালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে দেন। কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতির ফলে তার প্রভাব পড়ে ত্বক এবং চুলে।