প্রোটিন পাউডার কিনুন সতর্ক হয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
যাঁরা ওজন বাড়াতে চান কিংবা যাঁরা নিয়মিত জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন, তাঁদের অনেকের মনেই প্রোটিন পাউডার নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। পেশিবহুল সুঠাম চেহারা পেতে এই ধরনের পাউডার খাওয়া স্বাস্থ্যকর কি না, সেই প্রশ্ন জাগে অনেকের মনেই। অনেকে আবার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে চড়া দামের এই কৌটোবন্দি প্রোটিন পাউডারগুলি পুষ্টিবিদ কিংবা ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই দিনের পর দিন খেয়ে চলেছেন। এই অভ্যাস কিন্তু নানা শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। প্রোটিন পাউডার কেনার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন না থাকলে বিপদ ঘটতে পারে যখন-তখন। জেনে নিন, কী কী মাথায় রাখতে হবে?
১) কী কারণে প্রোটিন পাউডার খাচ্ছেন, তা জানা দরকার। পেশির শক্তি বৃদ্ধি করতে, না কি ওজন কমাতে, না কি সুস্বাস্থ্যের জন্য— শারীরিক প্রয়োজন বুঝে আলাদা আলাদা প্রোটিন পাউডার খেতে হবে।
২) উপাদানের উপর নির্ভর করে প্রোটিনের ধরন। ওয়ে, পি, সয়া, রাইস— সব রকম প্রোটিনের গুণ আলাদা। আপনার শরীরের পক্ষে কোনটা জরুরি তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
৩) প্রোটিন পাউডারের উপাদানগুলি ভাল করে পড়ে নিয়ে তবেই কেনা ভাল। অনেকের বহু জিনিসে অ্যালার্জি থাকে, তাই কেনার আগে যাচাই করে নিন।
৪) ওয়ে প্রোটিন অনেকে তাড়াতাড়ি হজম করে ফেলেন, হজমের সমস্যা হলে এই প্রোটিন খাওয়া ভাল। আর যাঁদের দুগ্ধজাত উপাদান খেতে সমস্যা, তাঁরা উদ্ভিজ প্রোটিন পাউডার বেছে নিতে পারেন।
৫) যে সংস্থার প্রোটিন পাউডার কিনছেন, তার বিষয়ে একটু ভাল করে যাচাই করে নিন। সংস্থাটির ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।