দীর্ঘ বিরতির পর কী ভাবে পুরনো জিমের রুটিনে ফিরবেন? ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন মানুষ নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পছন্দ করেন। তবে কখনও কোথাও ঘুরতে গেলে কিংবা কোনও কাজের জন্য দশ-পনেরো দিন জিমে না গেলেই আবার নতুন করে জিমের রুটিনে ফেরা সহজ নয়। অভিনেতা-অভিনেত্রী হোন বা সাধারণ কোনও ব্যক্তি, দীর্ঘ দিন পর আবার জিমে গিয়ে ট্রেনিং শুরু করা সবার কাছেই কষ্টকর। সম্প্রতি অভিনেত্রী সোহা আলি খান ইনস্টাগ্রামে একই সমস্যার কথা লিখে একটি পোস্ট করেছেন। অভিনেত্রী পোস্টে লেখেন, ‘‘দীর্ঘ দিন পর জিমে গিয়ে প্রথম বার শরীরচর্চা করা সত্যিই কষ্টকর।’’
দীর্ঘ দিন পর জিমে যাওয়া শুরু করলে কয়েকটি নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কী কী নিয়ম রয়েছে সেই তালিকায়?
১) জিমে গিয়ে ওয়ার্ম-আপের পর্যায়গুলি এড়িয়ে যাবেন না ভুলেও। দীর্ঘ বিরতির পর শরীরে পেশিগুলি এই পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত থাকে না। রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ মন্থর থাকে। তাই পেশিতে টান ধরা, আচমকা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। প্রশিক্ষকেরা তাই ভারী শরীরচর্চায় যাওয়ার আগে ওয়ার্ম আপের উপর জোর দেন।
২) প্রথমেই ভারী ওজন নিয়ে শরীরচর্চা শুরু করে দেবেন না। প্রথমে হালকা ব্যায়াম করুন। ওয়েট ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রেও হালকা ওজন দিয়েই শুরু করুন। শরীরচর্চার শুরুতেই যদি ভারী ওজন তুলতে যান, সে ক্ষেত্রে চোট লাগার আশঙ্কা বেশি। শরীরচর্চার যে কোনও মাধ্যমের নিয়মই হল একেবারে সাধারণ পর্যায় থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে কঠিন ব্যায়ামের দিকে যাওয়া। দেহের ওজন বুঝে ওজনের অনুপাত বাড়াতে হয়। জোর করে ওজন তোলার প্রবণতা থাকলে, চোট পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
৩) সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে এমনিতেই পেশিতে টান ধরতে পারে। তার উপর শরীরচর্চা করার সময়ে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। শরীর ভিতর থেকে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। যার ফলে জিমে গিয়ে শরীরে হওয়া ক্ষত সারতেও সময় লেগে যায়।
৪) জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার ফলে যে কায়িক পরিশ্রম হয়, তার ফলে ক্লান্তি নেমে আসা স্বাভাবিক। শরীরকে এত কষ্ট দেওয়ার পর আবার আগের পর্যায়ে ফিরে যেতে গেলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। ব্যথা কমাতে গেলেও শরীরচর্চা করার পর বিশ্রাম নিতে হবে। ঠিকঠাক ঘুম প্রয়োজন।