ডোবা তেলে খাবার খেয়েও সুস্থ থাকা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি ভোজনরসিক এবং স্বাস্থ্যসচেতনও। তাই দেদার বাইরের রকমারি খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীরের যত্ন নিতেও জানেন অনেকে। তেলেভাজা বাঙালির খুব প্রিয়। ডোবা তেলে ভাজা ফিশফ্রাই হোক কিংবা মাছের কচুরি— ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় না পেয়েই কামড় বসান তাতে। দেদার খাবার খাওয়া নিয়ে অকুতোভয় হলেও, তেলের বিষয়ে খানিক সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে জেল্লাহীন ত্বক, সব কিছুরই মূলে আছে খাবারের তেল। তবে তাই বলে এমন মুখরোচক খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেবেন, তা তো হতে পারে না। খাবার থেকে বাড়তি তেল দূর করারও উপায় আছে। সেগুলি জানা থাকলে মুখরোচক খাবার খেয়েও সুস্থ থাকা যায়।
ব্লটিং পেপার
অফিস থেকে ফেরার পথে ডিমের ডেভিল কিনে এনেছেন। কিন্তু প্যাকেট থেকে বার করতেই তেল চপচপে ডেভিল দেখে খাওয়ার ইচ্ছা খানিকটা চলে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে বাড়িতেই ব্লটিং পেপার থাকলে কোনও সমস্যা নেই। ব্লটিং পেপার দিয়ে ডিমের ডেভিলের তেল শুষে নিন।
এয়ার ফ্রায়ার
বাড়িতে অতিথি আসবে। কিন্তু বন্ধুটি একেবারেই তেলেভাজা খায় না। এ দিকে চিকেন শিঙাড়া বানাবেন বলে ঠিক করেছেন। বাড়িতে এয়ার ফ্রায়ার থাকলে তো চিন্তা করার দরকার নেই। চিকেন শিঙাড়া সেখানেই ভেজে নেন।
ননস্টিক কড়াই ব্যবহার করুন
কমতেলে খাবার বানাতে চাইলে ননস্টিক পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। ননস্টিক কড়াইয়ে এমনিতে কম তেলে ব্যবহার করেও সুস্বাদু রান্না করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে ভাল মানের ননস্টিক হতে হবে। সাধারণ ননস্টিক ব্যবহার করলে এত উপকার সুবিধা মিলতে নাও পারে।
গ্রিল করে নিতে পারেন
মুখরোচক খাবার মানেই যে ডোবা তেলে ভাজতে হবে, তার কোনও মানেই নেই। চিকেন, মাছ গ্রিল করেও নানা বাহারি পদ রান্না করা যায়। রান্নায় একফোঁটা তেলের ব্যবহার হল না। কিন্তু ভাল, সুস্বাদু খাবার খেয়ে মন ভাল হয়ে গেল।
হালকা ভেজে নিন
অনেক সময় অল্প তেল দিয়েও মুখরোচক রান্না করা যায়। ডায়েটের পর্বে অনেকেই অল্প তেলে সব্জি হালকা নাড়াচাড়া করে খান। তেমন কোনও রান্না করতে পারেন। স্বাদের যত্নও হবে। আবার শরীরও ভাল থাকবে।