রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাক উৎসবের আবহেও। ছবি:সংগৃহীত।
পুজোর বাকি আর মাস দেড়েক। দুর্গাপুজো হোক কিংবা পৌষপার্বণ— বাঙালির উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া হল অন্যতম অনুষঙ্গ। এমনিতেই পুজোর সময়ে না চাইতেও অনিয়ম হয়ে যায়। ঘড়ি ধরে খাওয়া তো দূর, পর পর কয়েক দিন হয়তো বাইরের খাবারেই ভরসা রাখতে হয়। কিন্তু ডায়াবিটিস থাকলে এই অনিয়ম একেবারেই কাম্য নয়। সে ক্ষেত্রে একটু সাবধানে থাকা জরুরি। ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে অন্য কোনও রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে শরীরে। মিষ্টিজাতীয় খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ না রাখলেই বিপদ। উৎসব আসতে তো এখনও খানিকটা সময় বাকি আছে। তাই এখন থেকেই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে পুজোর সময় যদি খানিক অনিয়ম হয়েও যায়, তা হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
মিষ্টি খাওয়ায় রাশ টানা
পুজোর সময়ে শেষপাতে একটু মিষ্টি না খেলে চলে না। তখন যাতে মিষ্টি খেয়ে কোনও সমস্যা না হয়, সেই জন্য এখন থেকে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করুন। ইচ্ছে করলেই ফ্রিজ থেকে বার করে মিষ্টি খেয়ে নিলে চলবে না। সেই ইচ্ছায় রাশ টানা জরুরি।
শরীরচর্চা
ডায়াবিটিস থাকলে এমনিতেই শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। শরীরচর্চা না করলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। তাই পুজো আসার আগে শরীরচর্চায় কোনও খামতি রাখলে চলবে না। ধারাবাহিক ভাবে শরীরচর্চা করা যেতে হবে। উৎসবের আনন্দে বাধনহীন ভাবে গা ভাসাতে এটুকু নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
প্রচুর জল খান
অনেক ক্ষেত্রেই বার বার মূত্রত্যাগ করার সমস্যার জন্য জল কম খান ডায়বিটিস রোগীরা। কিন্তু শরীরে যদি জলের পরিমাণ কমে যায়, তা হলে মুশকিল হতে পারে। তাই পুজোয় খাওয়াদাওয়ায় একটু অনিয়ম করতে চাইলে এখন থেকে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
শর্করা এড়িয়ে চলুন
শর্করা কম করে খান। ডায়াবিটিস থাকলেও অল্প ভাত খাওয়ার ছাড় থাকে। তবে পুজোর আগে ভাতের বদলে অন্য কিছু খান। বিশেষত ফাইবার যুক্ত খাবার বিশেষ উপযোগী। চিঁড়ে, পায়েস না খাওয়াই ভাল। স্যালাড খেতে পারেন বেশি করে। যে সব ফলে জলের পরিমাণ বেশি, সে সব খান।
ময়দা ও ভাজাভুজি কম খান
উৎসবের দিনগুলিতে লুচি, পরোটা বাড়িতে হয়েই থাকে। উৎসবের দিনগুলিতে ময়দা দিয়ে অসংখ্য পদ রান্না হয়ে থাকে। কিন্তু এই পদগুলি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। তবে পুজোর মরসুমে এক দিন তো চেখে দেখতে ইচ্ছা করেই। সেই এক দিন ইচ্ছাপূরণ করতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য জোয়ার বা ওটসের বিভিন্ন পদ নিয়ম মেনে খেতে হবে এই কয়েকটি দিন।