এই বৃষ্টিতে বাচ্চাদের সংক্রমিত হওয়ার ভয় বেশি। ছবি: সংগৃহীত।
মুষলধারে না হলেও, সারা দিন ধরে টিপটিপ করে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। গ্রীষ্ম শেষে এ বার বর্ষার পালা। খটখটে রোদের বদলে আকাশে রাজত্ব করবে মেঘের দল। বর্ষা অনেকের প্রিয় ঋতু হলেও, এ মরসুমে নানা রোগবালাইয়ের ঝুঁকি থেকে যায়। বিশেষ করে বাড়ির খুদেটির বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। ছোটদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে যে কোনও সংক্রমণ তাদের আগে আক্রমণ করে। জলকাদায় বাইরে খেলতে পাঠাচ্ছেন না মানেই সংক্রমণের ভয় নেই, তা নয়। এই মরসুমে সন্তানকে সুস্থ রাখতে কোন দিকগুলিতে নজর দেবেন?
বর্ষায় রোগবালাইয়ের ঝুঁকি সন্তানকে রক্ষা করুন। ছবি: সংগৃহীত।
১) শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ান। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্ষায় পেটের গোলমালে বেশি ভোগে খুদেরা। ডায়েরিয়ার ঝুঁকিও থেকে যায়। সুস্থ রাখতে বেশি করে জল খাওয়ানো জরুরি।
২) শুধু জল নয়, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবারও খাওয়াতে হবে। বর্ষায় একেবারে বাইরের খাবার খাওয়াবেন না। সম্ভব হলে বাড়িতেই খুদের পছন্দের খাবারগুলি বানিয়ে দিন। তবে বেশি ভাজাভুজি কিংবা প্রক্রিয়াজাত কোনও খাবার একেবারেই শিশুকে খেতে দেবেন না।
৩) শিশু খাবার খাওয়ার আগে হাত ধুচ্ছে কি না, তা লক্ষ রাখুন। খেতে বসার আগে সব সময়ে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করান। স্কুলেও টিফিন খাওয়ার আগে যাতে ধুয়ে নেয়, সে বিষয়েও নির্দেশ দিয়ে রাখুন।
৪) শিশুর অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে বাড়তি সচেতন থাকুন। এমন কোনও খাবার সন্তানকে খাওয়াবেন না, যেগুলি থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। স্কুলের টিফিন কিংবা সন্ধ্যার জলখাবার, বর্ষায় শিশুকে বাড়ির খাবার খাওয়ান।
৫) খুদের স্কুল ব্যাগে সব সময়ে ছোট ছাতা (শিশুর ব্যবহারের উপযোগী) অথবা রেনকোট রেখে দিন। অনেক শিশুই স্কুলবাসে বাড়ি ফেরে। বর্ষাকালে কখন বৃষ্টি শুরু হবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। রেনকোট থাকলে অন্তত বৃষ্টির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে শিশু।