বর্ষায় ভাজাভুজি না খেলেই নয় অথচ বদহজমও হচ্ছে বেশি। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির গ্যাসের সমস্যা বারো মাস লেগেই থাকে। তবে বর্ষায় যেন বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত বেশি হয়। এ সময়ে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ডায়েরিয়া, টাইফয়েডের মতো জলবাহিত রোগও দেখা যায়। চিকিৎসকরা তাই বাইরের খাবার খেতে বারণ করে থাকেন। বর্ষা মানেই বাড়িতে ভাজাভুজি খাওয়ার চল বাড়ে। চায়ের সঙ্গে চপ, পকোড়া, শিঙাড়া খাওয়ার হার এ মরসুমে বেড়ে যায়। এ ছাড়াও, রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস, অত্যধিক মানসিক চাপ ও উদ্বেগ, শরীরচর্চায় অনীহা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব— এ সবের কারণেও কিন্তু অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। কেবল খাদ্যাভ্যাসেই বদল আনলে হবে না, বদহজম ও গ্যাসের সমস্যা দূর করতে কিন্তু জীবনশৈলীতেও বদল আনতে হবে।
অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাসও বদহজমের কারণ হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
১) নির্দিষ্ট সময়ে দিনের সব খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রয়োজনে ঘড়ি মিলিয়ে জলখাবার, দুপুরের খাবার আর রাতের খাবার খেতে শুরু করুন। আর বিকেলের স্ন্যাকস অনেকেই এড়িয়ে চলেন, দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকলেও অম্বলের সমস্যা বেড়ে যায়। তবে সব খাবারই যেন স্বাস্থ্যকর হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে।
২) অত্যধিক মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাসও বদহজমের সমস্যার কারণ হতে পারে। চেষ্টা করুন ধূমপান ছেড়ে দিতে। মদ্যপানেও লাগাম টানুন।
৩) অফিসে একটানা বসে কাজের ফলে হাঁটাচলা করার খুব বেশি সুযোগ হয় না। তার উপর অফিসে এতটা সময় চলে যায় যে জিমে গিয়ে আর শরীরচর্চা করার সুযোগ হয় না। এ কারণেও কিন্তু বদহজমের সমস্যা বাড়ে। তাই কাজের ফাঁকেও সময় বার করে শরীরচর্চা করতেই হবে।
৪) খাওয়াদাওয়ার পরেই বিছানায় চলে যান? এই অভ্যাস কিন্তু এখনই বদলাতে হবে। খাওয়াদাওয়ার পর হয় বাড়ির কাজ করুন, না হলে হাঁটাহাটি করুন।
৫) রাত জেগে ওয়েব সিরিজ় না দেখে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। পর্যাপ্ত ঘুম হলেই কিন্তু হজম ভাল হয়। গ্যাসের সমস্যাও দূর হয়।
অম্বলের সমস্যা দূর করতে ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার, টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলুন। রোজের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কমিয়ে দিন। এ ছাড়া রোজের ডায়েটে জিরে, পুদিনা, তুলসী, আদার মতো হজমে সাহায্যকারী উপাদানগুলি বেশি করে রাখতে হবে।