ধারাবাহিক ভাবে করুন শরীরচর্চা। ছবি:সংগৃহীত।
ওজন ঝরানো থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা— নিয়ম করে শরীরচর্চা করলে তবেই মিলবে সুফল। নিয়ম করে শরীরচর্চার সুফল অনেক। সেই জন্য অনেকেই শরীর ঠিক রাখবেন ভেবে জিমে ভর্তি হন। কিংবা সকালের দিকে সময় বার করে খানিক শরীরচর্চা করেন। শুরুর দিকে শরীরচর্চা নিয়ে আলাদা একটা উৎসাহ থাকে সকলেরই। সকাল সকাল উঠে জিমে যাওয়া হোক কিংবা সারা দিন সময় না পেলেও অফিস থেকে ফিরে ব্যায়াম করে নেন অনেকেই। কিন্তু এই উৎসাহের মেয়ায় বেশি দিন থাকে না। কয়েক দিন পর থেকেই শরীরচর্চা করতে হবে ভাবলেই যেন জ্বর আসে। ব্যস, দাঁড়ি পড়ে শারীরিক কসরত করার রুটিনে। সপ্তাহখানেক পেরোনোর পর হয়তো এক বার ইচ্ছা জাগে ব্যায়াম করার। তখন অবশ্য শরীরচর্চা করে কিন্তু কোনও সুফল মেলে না। শরীরচর্চার সুফল পেতে গেলে সেটা নিয়মিত করতে হয়। শরীরচর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সত্যিই সহজ নয়। তবে কয়েকটি অভ্যাস মেনে চললে শরীরচর্চার প্রতি আগ্রহ ধরে রাখা সম্ভব।
শরীরচর্চার সময়
শরীরচর্চার একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন। এবং প্রতি দিন সেই সময় অনুযায়ী ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। আপনার সময় অনুযায়ী শরীরচর্চা করুন। কাজের ব্যস্ততা থাকে না, ঠান্ডা মাথায় ব্যায়াম করতে পারবেন এমন সময়টি বেছে নিন শারীরিক কসরতের জন্য। মোবাইলে ওই সময়টায় অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে এটা অভ্যাসে পরিণত হবে।
তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান
সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেন না বলেই শরীরচর্চা করা হয় না অনেকের। প্রতি দিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে ও সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময়টা এক রাখুন। এতে পর্যাপ্ত ঘুমও হবে। শরীরে শক্তিও পাবেন। তখন শরীরচর্চা করার ইচ্ছেটাও থাকবে।
সঠিক জায়গা
বাড়িতে শরীরচর্চার একটা জায়গা তৈরি করুন। প্রতিনিয়ত সেই জায়গাটার পাশ দিয়ে যেতে গেলে আপনার নিজেরই মনে পড়বে শরীরচর্চাটা করে নেওয়া দরকার। ইচ্ছে না করলেও মনে হবে খানিক শারীরিক কসরত করি। তবে সেই জায়গাটা একটু প্রসারিত হলে ভাল।
সুফল সম্পর্কে অবগত হোন
শরীরচর্চার মাধ্যমে আপনার কতটা উন্নতি হয়েছে, সেটা খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন শরীরচর্চার পর ক্যালেন্ডারে লিখে রাখুন যে আপনি শরীরচর্চা করেছেন। মাসের শেষে প্রতিদিনের শরীরচর্চা ফলে আপনার ওজন কতটা কমল বা অন্যান্য কী কী সুবিধে হল, সেটা দেখার সময়। তা হলে দেখবেন শরীরচর্চা করার জন্য আলাদা তাগিদ পাচ্ছেন।