প্রতীকী ছবি।
এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তে বেড়েছে পারদ। রোদ তাপের মধ্যে বেরোতে নাজেহাল অবস্থা অনেকেরই। ঘামে জেরবার পরিস্থিতি। আর এ সময়েই বাড়ে ঘামাচিরও দাপট।
এক বার ঘামাচি হলে তা কমতে সময় লাগে। সারা শরীর যেমন লালচে ফোস্কায় ভরে যায়, তেমন তাতে ব্যথা-চুলকানিও হয়। তা কমানোর পথ খুঁজতেই হতে হয় নাজেহাল। কেউ দিনে কয়েক বার করে স্নান করেন, কেউ আবার বাজারে বিক্রি হওয়া ঘামাচির রকমারি পাউডার মাখেন। কিন্তু তাতে সাময়িক আরাম হলেও ঘামাচির জ্বালা আবার ফিরে আসে।
প্রতীকী ছবি।
ঘামাচির যন্ত্রণা কমাতে তবে কী করতে পারেন?
১) ঘামাচি কমানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হল পরিচ্ছন্ন থাকা। যদি ঘামাচি কমানোর চেষ্টায় অনেক পাউডার মেখে রাতে ঘুমতে যান, তবে সকালে উঠে তা-ও ভাল ভাবে সাবান দিয়ে স্নান করে পরিষ্কার করে ফেলুন। গায়ে পাউডার জমে থাকাও এ সময়ে স্বাস্থ্যকর নয়।
২) নানা রকম ক্যালাইমিনো লোশন পাওয়া যায় আজকাল। ঘামাচি কমাতে সে সব বেশ কার্যকর। তেমন কিছু মাখতে পারেন।
৩) বারবার স্নান করেন এ সময়ে? স্নানের জলে মিশিয়ে দিতে পারেন লেবুর রস কিংবা নিম পাতা ভেজানো জল। তা হলে দ্রুত আরাম মিলবে ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে।
৪) সুতির পোশাক পরুন। তা হতে হবে ঢিলেঢালাও। এ সময়ে গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা কোনও পোশাক পরলে ঘামাচির যন্ত্রণা আরও বেড়ে যেতে পারে।
৫) শরীর ভিতর থেকে গরম হয়ে গেলে ঘামাচি বাড়ে। ফলে গ্রীষ্মকালে বেশি করে তরল খান। লেবুর জল, ডাবের জলের মতো পানীয় বেশি করে খাওয়া অভ্যাস করুন।