ভূরিভোজ সারুন বুঝেশুনে। ছবি:সংগৃহীত।
সপ্তাহান্ত আসতে এখনও কিছু দিন বাকি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তার আগেই এক দিন ছুটি পাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন অনেকেই। অনেকেই এই দিনটি কী ভাবে কাটাবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছেন। সময়ের অভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার ফুরসত পান না অনেকেই। ছুটির দিনটা তাই হইহুল্লো়ড়, জমাটি আড্ডা আর দেদার খাওয়াদাওয়া করেই কাটাবেন ঠিক করেছেন। অনেকেরই আবার পরিবারের সঙ্গে রাতে জমিয়ে ভূরিভোজের পরিকল্পনা রয়েছে। এত খাওয়াদাওয়ার পর কিন্তু গ্যাস-অম্বল হলে সামলাবেন কী করে?
১) জল খান বেশি করে। হইহুল্লোড়ের মাঝে অনেক সময় জল খাওয়ার কথা মনে থাকে না। জল কম খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা বাড়তেই থাকবে। তার উপর যদি ভারী খাবার খান, তা হলে তো আর কোনও কথাই নেই। গ্যাস-অম্বল হতে বাধ্য। তাই ভালমন্দ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পরিমাণ মতো জলও খেতে হবে।
২) পরিমাণে কম খাওয়া জরুরি। সব ধরনের খাবার স্বাদ নিতেই পারেন। তবে পরিমাণ যেন বেশি না হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে নিলে হজম করতে সমস্যা হয়। তাই সব সময় পরিমাণে কম খাওয়া জরুরি। তাতে শরীরের উপর প্রভাব পড়বে না। ভূরিভোজের পরিকল্পনা রাতে হলে পরিমাণে রাশ টান অবশ্যই জরুরি।
৩) খাবার খাওয়ার পর অন্তত মিনিট ৪৫ বসে বা শুয়ে গল্প করার বদলে হাঁটাচলা করুন। হাঁটলে খাবার দ্রুত হজম হবে। সেই সঙ্গে পেট গুড়গুড় করার সমস্যাও কমবে।
৪) খাওয়াদাওয়ার পর যদি শারীরিক অস্বস্তি বা়ড়তে থাকে তা হলে অপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে নিজের সিদ্ধান্তে কোনও ওষুধ খাবেন না। এমনিও গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস অস্বাস্থ্যকর।
৫) অম্বলের ঝুঁকি এড়াতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া পানীয়ে। ভরপেট খাওয়াদাওয়ার পর যদি মনে হয় পেটের অবস্থা ভাল নয়, সে ক্ষেত্রে খেতে পারেন জোয়ান ভেজানো জল। আমলার রস কিংবা ঈষদুষ্ণ গরম জল।