এ দেশেও আছড়ে পড়তে পারে করোনার নতুন স্ফীতি। ছবি: সংগৃহীত
চিনের করোনা পরিস্থিতি নতুন করে জন্ম দিচ্ছে উদ্বেগের। বাড়াচ্ছে চিন্তা। করোনার নয়া উপরূপ বিএফ.৭ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। চিনে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী। এই উপরূপ ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে ভারতেও। ওড়িশা এবং গুজরাত মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩। চিনের তুলনায় যা কিছুই নয়। কিন্তু তাই বলে তো নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকা যায় না। যে কোনও দিন হয়তো এ দেশেও আছড়ে পড়তে পারে করোনার নতুন স্ফীতি। তাই আগে থেকে সতর্ক এবং সুরক্ষিত দুই-ই থাকা প্রয়োজন।
সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসনালির সংক্রমণ— করোনার নতুন উপরূপ বিএফ.৭-এর উপসর্গগুলি মূলত এগুলিই। এ ছাড়া পেটের সমস্যা, বমি, ডায়রিয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। একে শীতকাল তার উপর নতুন করে করোনার হানা— এই সময় সুস্থ থাকাটা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়া়তে পারে। কিন্তু যে ভাবেই হোক সুরক্ষিত থাকাটা জরুরি। তার জন্য সবচেয়ে আগে প্রয়োজন শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়ানো। এই পরিস্থিতি করোনার সঙ্গে লড়তে কোন নিয়মগুলি মেনে চলবেন?
টিকা নেওয়া না থাকলে নিয়ে নিন
করোনা থেকে দূরে থাকতে টিকা নেওয়াটা জরুরি। অনেকেই করোনার দু’টো টিকা এবং বুস্টার নিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। এখনও যদি তা না নিয়ে থাকেন, তা হলে আর দেরি না করে অবশ্যই নিয়ে ফেলুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
করোনার সঙ্গে লড়াই করতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে ফেলুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, নুন যতটা সম্ভব কম খান। রোজের পাতে রাখুন সবুজ শাকসব্জি। প্রতি দিন দু’টো করে ফল খেতে ভুলবেন না। প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডিম, বাদামের মতো খাবার বেশি করে খান। দই, পনির, ছানা, দুধের মতো দুগ্ধজাতীয় খাবার রোজের পাতে রাখুন। ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান যাতে শরীরে খাবারের মাধ্যমে প্রবেশ করে, সে দিকে লক্ষ রাখুন।
রোজ শরীরচর্চা করুন
অন্য সময় শরীরচর্চা করুন আর না করুন, এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে অল্প সময়ের জন্য হলেও শরীরচর্চার অভ্যাস তৈরি করুন। এতে শুধু করোনা দূরে থাকবে তা-ই নয়, করোনা নিয়ে আতঙ্কও কাটবে। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং আরও অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকতেও শরীরচর্চা করা জরুরি।
পর্যাপ্ত ঘুমোন
শরীরের সার্বিক সুস্থতার ভিত্তি হল পর্যাপ্ত ঘুম। ঠিক করে না ঘুমোলে প্রতিশক্তি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে। তাতে করোনার সঙ্গে লড়াই করা সমস্যাজনক হয়ে উঠবে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। তাতে শরীর আর মন দুই-ই ভাল থাকবে।