সন্তানধারণের সাত-আট মাসের মাথায় গিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরও বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। প্রতীকী ছবি।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ভোগায়। ওজন বেড়ে যাওয়া, পা ফোলা, বমি বমি ভাব তো আছেই। তবে শরীরের এই পরিস্থিতিতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা যেন জাঁকিয়ে বসে। চিকিৎসকরাও তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিতে বলেন। কারণ এই সময় গ্যাসের সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়ে লিভার, অগ্ন্যাশয়ে। হজমের গোলমালও দেখা দেয়। এখান থেকেই জন্ম নেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা।চিকিৎসকদের করা একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ১৬ থেকে ৩৯ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা কোষ্ঠাকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। সন্তানধারণের সাত-আট মাসের মাথায় গিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরও বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। সন্তান জন্মের তিন মাস পর্যন্ত এই সমস্যাটি থেকেই যায়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গা গোলানো, বমি ভাব লেগেই থাকে। ফলে জল খাওয়ার ইচ্ছাটা চলে যায়। জল কম খাওয়ার ফলে শরীর আর্দ্র হয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সূত্রপাত এখান থেকেই। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন।
১) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রোজের পাতে বিনস রাখতে ভুলবেন না। বিনসে প্রায় ৬ গ্রাম মতো ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমজনিত সব ধরনের সমস্যার নিমেষে সমাধান করে। হজম ঠিক করে হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের আশঙ্কাও কমবে খানিকটা।
২) প্রচুর পরিমাণে শাকসব্জি এবং ফল বেশি করে খান। স্ট্রবেরি, খেজুর, আপেল, কলা, কমলালেবুর মতো রোজ একটি করে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খান।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
৩) ময়দার জিনিস এই সময় বেশি খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। তবে ব্রাউন রাইস, পাস্তা, পাউরুটি খেতে পারেন। কারণ এই খাবারগুলিতে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি।
৪) সকালের জলখাবারে কর্নফ্লেক্স, ওটমিল নির্ভয়ে খেতে পারেন। এই ধরনের খাবারগুলি শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
৫) পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সারা দিনে অন্তত ৩০ মিনিট মতো শরীরচর্চা করুন। ব্যায়ামের গুণে দূর হবে হজমের গোলমালও। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সুস্থ থাকতে তাই শরীরচর্চার অভ্যাস জরুরি।