হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
বয়স হলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। হার্টের সমস্যা যে কোনও বয়সে হানা দিতে পারে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। রোজের জীবনে নিয়ম মেনে না চললে হার্টের খেয়াল রাখা সত্যিই অসম্ভব। পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সামান্য হলেও বেশি। ফলে বাড়তি সুরক্ষা নিতেই হয়। শরীরের প্রতি অবহেলা পুরুষদের খানিক বেশি। অযত্ন, অনিয়ম হার্টের অসুখ ডেকে আনে। কিছু নিয়ম যদি মেনে চলতে পারেন পুরুষেরা, তা হলে সত্যিই ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।
১) সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন শরীরচর্চা করতেই হবে। ৭ দিন করতে পারলে খুব ভাল। ভারী শরীরচর্চা না করলেও রোজ অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা দ্রুত গতিতে হাঁটতে পারেন। সঙ্গে কিছু হালকা ব্যায়াম করলেও হবে।
২) রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে কিন্তু হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে স্ট্রোক, হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত যদি ঠিক মতো ঘুম না হয়, তা হলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল মতো হয় না। কাজেই শরীর তখন স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। যার ফলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা থাকে।
৩) হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে সবার আগে ধূমপান একেবারে ছাড়তে হবে। ধূমপান ও তামাকজাত কোনও দ্রব্য হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্যতম বড় কারণ। এর পাশাপাশি মদ্যপানেও লাগাম টানতে হবে। পরিমিত মদ্যপানে সমস্যা নেই, তবে নিয়ম করে মদ খেলে শরীরে হৃদ্রোগ বাসা বাঁধার আশঙ্কাও বাড়বে।
৪) যাঁর যত ওজন বেশি, তাঁর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। স্থূলতার সমস্যা থাকলেই মুশকিল। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের উপর নজর দিন। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমাতে হবে, খেলেও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট। সাধারণ পাউরুটির বদলে ব্রাউন ব্রেড, ময়দার রুটির বদলে আটার রুটি খেতে পারেন। ডায়েটে বেশি করে শাকসব্জি ও ফল রাখতে হবে। অল্প অল্প করে বার বার খান।