ডায়াবিটিস বশে রাখার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে এক বার ডায়াবিটিস বাসা বাঁধলে আর রক্ষে নেই। ‘খাল কেটে কুমির আনার মতো’ শরীরে একাধিক জটিল রোগ ডেকে আনে এই রোগ। তবে ওষুধ, পরিমিত খাবার এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। জিমে যাওয়ার সময় না হোক, রোজ নিয়ম করে দু’বেলা হাঁটতে বলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু হাঁটুর ব্যথার জ্বালায় জিম তো দূর, বেশি ক্ষণ হাঁটতেও পারেন না। সে ক্ষেত্রে ডায়াবিটিস বশে থাকবে কী করে? চিকিৎসকদের মত, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম অস্ত্র হতে পারে যোগাসন।
কোন তিন যোগাসন নিয়মিত অভ্যাস করলে রক্তের বাড়তি শর্করা বশে থাকবে?
১) তাড়াসন
সোজা হয়ে দাঁড়ান। পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন। শ্বাস নিন। হাত দুটোকে উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যান। এ বার আঙুল দিয়ে হাত দুটোকে জড়ান। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর হাত দুটো নিয়ে যান। পায়ের গোড়ালিগুলো মাটি থেকে উপরে তুলুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রাখুন। এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিন। এ বার গোড়ালি নীচে নিয়ে আসুন। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। দু’বার করতে পারেন এই ব্যায়াম।
২) বৃক্ষাসন
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের দু’টি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। তার পর শরীরের ভারসাম্য রেখে নিজের ডান পায়ের হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতাটি বাঁ পায়ের ঊরুর উপর আনুন। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে সমান ভাবে মাথার উপর নিয়ে যান। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকুন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন ও পা বদল করে নিয়ে পুনরায় করুন।
ভুজঙ্গাসন। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ভুজঙ্গাসন
মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।