স্ক্রাব করার ভাল-মন্দ! ছবি: সংগৃহীত।
ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের উপরের স্তর থেকে ধুলো-ময়লা সরে যায় ঠিকই। কিন্তু খসখসে ত্বক পেলব হয় না। নিষ্প্রাণ ত্বকে চটজলদি জেল্লা আনতে তাই দু’দিন অন্তর ‘এক্সফোলিয়েট’ করেন। ত্বকের উপরের স্তর থেকে ধুলো-ময়লা দূর করতে, মৃত কোষ বা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় দারুণ কাজ করে এই প্রসাধনী। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, রূপচর্চার জগতে এক্সফোলিয়েটর বা স্ক্রাবারের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু তা সব ধরনের ত্বকের জন্য নয়। তা ছাড়া স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করারও কিছু নিয়ম আছে। সেগুলো না জেনে রোজ মুখে স্ক্রাব ঘষলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
স্ক্রাবিং করবেন কেন?
১) ত্বকের বাইরের স্তরে ধুলো-ময়লা, মৃত কোষ পরিষ্কার করতে স্ক্রাব ব্যবহার করতেই হবে।
২) মুখের উন্মুক্ত রন্ধ্রে জমে থাকা তেল, ব্ল্যাকহেড্স দূর করতেও স্ক্রাব অব্যর্থ।
৩) ত্বকে নতুন কোষ তৈরিতে উৎসাহ জোগায় এক্সফোলিয়েটর বা স্ক্রাবার। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতেও এই প্রসাধনীর ভূমিকা রয়েছে।
স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করারও কিছু নিয়ম আছে। ছবি: সংগৃহীত।
স্ক্রাবিং কখন ত্বকের জন্য ক্ষতিকর?
১) মৃত কোষ সরিয়ে ফেলতে স্ক্রাবিং করা ভাল। তবে নিয়মিত এই প্রসাধনী ব্যবহার করলে তা ত্বকের নিজস্ব তেল বা সেবামের কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে পারে। যার ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়তে পারে।
২) স্ক্রাবার শক্ত দানা নিয়মিত গায়ে ঘষলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। সেই ত্বকে সরাসরি রোদ লাগলে ক্ষতির আশঙ্কা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে।
৩) ত্বকে যদি এগজ়িমা, সোরাইসিস, রোজ়োসা, র্যাশ বা ব্রণ থাকলে সেই অবস্থায় স্ক্রাব ব্যবহার করার ফল কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। তাই এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভাল।