ছবি: সংগৃহীত।
দৌড়তে যাওয়ার সময়ে পায়ে সাধারণ চপ্পল বা জুতো পরা যাবে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। সেই ভয়ে দাম দিয়ে এক জোড়া ‘রানিং শু’ কিনেছেন। পায়ে সেই জুতো গলিয়ে হাঁটলে বা দৌড়লে সত্যিই আরাম লাগে। প্রশিক্ষকেরা বলেন, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা রুখে দিতেও ‘রানিং শু’-এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তবে এই ধরনের জুতো পরেও অনেক সময়ে পায়ে ব্যথা হতে পারে।
বেশি পরা হয় না বলে শরীরচর্চা করার জুতো চট করে ছিঁড়ে বা নষ্ট হয়ে যায় না। তাই প্রতি বছর নতুন জুতো কেনার কথা হয়তো অনেকেরই মাথায় থাকে না। তবে ‘রানিং শু’-এরও কিন্তু নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। নিয়মিত ব্যবহার করলে এক বছর পর্যন্ত এই ধরনের জুতো পরা যায়। তার বেশি নয়। জুতোর মেয়াদ যে ফুরিয়ে আসছে, তা জানান দিতে পায়ের পাতায় কয়েকটি লক্ষণ প্রকাশ পায়। জেনে নিন, সেগুলি কী।
১) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা:
দৌড়নোর সময়ে পায়ের পাতায় বা পেশিতে চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা রুখতে পায়ে বিশেষ জুতো পরতে বলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তেমন জুতো পায়ে গলিয়েও যদি গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়, সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, জুতোর গুণমান নষ্ট হয়েছে। পায়ের পাতায় আলাদা করে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ‘কুশনিং’-এর ব্যবস্থা থাকে। জুতো পরতে পরতে তা নষ্ট হয়ে যায়। সেখান থেকেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
২) পায়ে ফোস্কা:
নতুন জুতো পরলে পায়ে ফোস্কা পড়ে। কিন্তু পুরনো ‘রানিং শু’ পরেও যদি পায়ে এমন সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে বুঝতে হবে, জুতো বদলানোর সময় এসেছে। হাঁটাচলা বা দৌড়নোর সময়ে জুতোর ভিতরের আস্তরণ এবং ত্বকের পাতলা চামড়া বার বার ঘষা খেলে কেটেছড়ে যেতে পারে কিংবা ফোস্কাও পরতে পারে।
৩) জুতোর তলা ক্ষয়ে যাওয়া:
জুতোর তলা ক্ষয়ে গেলেও অনেক সময়ে পায়ে ব্যথা হয়। এই ধরনের জুতো পরে হাঁটলে বা দৌড়লেও পায়ে চোট লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। পায়ের ক্ষতি রুখতে নতুন জুতো কিনে ফেলাই ভাল।