জন্ডিসের সমস্যার অন্যতম লক্ষণ হল ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া। ছবি: সংগৃহীত
গরম পড়তে না পড়তেই নানা রকম হজমজনিত সমস্যা, পেটের গোলমাল দেখা দেয়। পেটের নানাবিধ সমস্যা থেকেই জন্ম নেয় জন্ডিসের মতো রোগ। চিকিৎসকদের মতে, মূলত খাদ্য ও জল থেকেই এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। রক্তে হলুদ রঙের পিত্ত বিলিরুবিন বেড়ে গেলে জন্ডিসে দেখা দেয়। বিলিরুবিন শরীরের স্বাভাবিক রক্তচলাচল ব্যাহত করে। জন্ডিস একটি অবস্থার নাম। অসুখটি মূলত হেপাটাইটিস। এর ভাইরাস সরাসরি লিভারকে আক্রমণ করে। এর লক্ষণও অনেক সময়ে খুব সহজে ধরা পড়ে না, বা জল বেশি করে খেলে সে সব লক্ষণ সরেও যায়। প্রাথমিক অবস্থায় অবহেলা করলে জন্ডিস মারাত্মক আকার নিতে পারে।
জন্ডিস সাধারণত ৩ প্রকার হয়—
১) প্রিহেপাটিক জন্ডিস
২) হেপাটোসেলুলার জন্ডিস
৩) পোস্ট হেপাটিক জন্ডিস বা অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস
শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল লিভার। ছবি: সংগৃহীত
কী ভাবে বুঝবেন জন্ডিসে আক্রান্ত কি না?
১) ওজন হ্রাস: যকৃতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে ওজন কমে যেতে পারে। আর জন্ডিসও সরাসরি লিভারে আঘাত করে। হজম প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে যকৃৎ বা লিভার। শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল লিভার। এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে খিদে কমে যায়। খাওয়াদাওয়ায় অনীহা জন্ম নেয়। ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে।
২) ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া: জন্ডিসের সমস্যার অন্যতম লক্ষণ হল ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া। এই অবস্থায় লিভারে পিত্ত জমা হতে থাকে। হলুদ রঙের পিত্ত জমে থাকার ফলে ত্বক ও চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করে। জমে থাকে পিত্ত পিত্তনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে জন্ডিস হলে পেটে জ্বালা ভাব থাকে।
৩) পেটে ব্যথা: জন্ডিস হলে মাঝেমাঝেই পেটে ব্যথা করে ওঠে। বিশেষ করে পাঁজরের নীচের ডান দিকে সর্ব ক্ষণ ব্যথা হয়। বমি ভাবও থাকে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দেরি হলে সমস্যা বাড়তে পারে।