জল শরীরের জমে থাকা মেদ ঝরানোর অন্যতম অস্ত্র হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নিয়মিত শরীরচর্চা, পরিমিত খাওয়াদাওয়া, ওজন কমানোর অনেক ঝক্কি। এ দিকে শরীর সুস্থ রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প কিছু নেই। রোগা হওয়ার এই দীর্ঘ পর্বে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, জল খেয়ে কমিয়ে ফেলতে পারেন ওজন। জল শরীরের জমে থাকা মেদ ঝরানোর অন্যতম অস্ত্র হতে পারে।
১) ওজন কমাতে বেশি করে জল খান: জল কম খাওয়ার অভ্যাস কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণে বাধা দেয় তা নয়। শারীরিক ক্রিয়াকলাপেও বিঘ্ন ঘটায়। এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতি দিন ২-৩ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল শরীরে জমে থাকা চর্বি গলাতে সাহায্য করে। দৈনিক নির্দিষ্ট হারে জল খেলে ওজন তো নিয়ন্ত্রণে থাকেই। এ ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যারও সমাধান হয়। থাইরয়েড, কি়ডনি, হৃদ্রোগ, লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগে থাকলে আরও বেশি করে জল পান করা প্রয়োজন।
কফি খেয়েও রোগা থাকতে চাইলে তাতে মেশাতে পারেন দারচিনি। ছবি: সংগৃহীত
২) কফিতে মেশাতে পারেন দারচিনি: সারা দিনে কাজের ফাঁকে অনেকেই ঘন ঘন চুমুক দেন কফির কাপে। কফি খেয়েও রোগা থাকতে চাইলে তাতে মেশাতে পারেন দারচিনি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সমান উপকারী দারচিনি। অ্যান্টিইনফ্লেমটরি এবং অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ দারচিনি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এক চামচ দারচিনিতে ১.৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
৩) গ্রিন টি খান: গ্রিন টি তে খুবই অল্প পরিমাণ ক্যাফিন থাকে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে ক্যাফিন অত্যন্ত কার্যকর। এ ছাড়াও এতে ‘ক্যাটেচিন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা বিপাক ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলে ওজন কমানোও সহজ হয়ে যায়।
৪) মদ্যপান ত্যাগ করুন: সমীক্ষা বলছে, নিয়মিত মদ্যপানের ফলে ওজন বেশি হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বেশি থাকে। এমনকি যাঁদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি,তাঁদের মদ্যপানের কারণে মোটা হওয়ার ঝুঁকি আরও ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।