কান পরিষ্কার করতে তুলোর বাডের বদলে ভরসা রাখতে পারে ঘরোয়া তিনটি উপায়ে। ছবি: সংগৃহীত
নিয়মিত কান পরিষ্কার করার অভ্যাস অনেকেরই আছে। বড়রা কান পরিষ্কার করতে মূলত ব্যবহার করে থাকেন তুলোর বা়ড। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই যে, কান পরিষ্কার করতে তুলোর বাডও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তুলোর বাডকে তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ ভাবা হলেও তা সব সময় সঠিক হয় না। এর থেকে বিপদের সম্ভাবনাও রয়েছে। কয়েক দিন আগে খুলে রাখা প্যাকেট থেকে অজান্তেই কটন বাড বার করে ব্যবহার করে থাকেন। সেটা বেশ বিপজ্জনক। কারণ তাতে ধুলো থাকতে পারে। বাতাসের সংস্পর্শে এসে আর্দ্র হয়ে থাকলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ। আর্দ্রতার কারণে খুলে রাখা তুলোর বাডে ছত্রাক জন্মায়। তা থেকে কানে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। তা হলে উপায়? কান পরিষ্কার করতে তুলোর বাডের বদলে ভরসা রাখতে পারে ঘরোয়া তিনটি উপায়ে। সেগুলি কী?
১) প্রথমে কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার একটি পরিষ্কার সুতির কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে আলতো করে কানের উপর রাখুন। তাপ কানের ভিতরে জমাট বেঁধে থাকা ময়লা নরম করতে সাহায্য করবে। ফলে তা নিজে থেকেই বেরিয়ে আসবে।
কানের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে দারুণ কাজ করে অলিভ অয়েল। ছবি: সংগৃহীত
২) কানের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে দারুণ কাজ করে অলিভ অয়েল। কানের ভিতর তিন ফোঁটা অলিভ অয়েল ঢেলে দিয়ে কিছু ক্ষণ কাত হয়ে শুয়ে থাকুন। পর পর তিন দিন এটি করুন। কানের ভিতরে শক্ত হয়ে জমাট বেঁধে থাকা ময়লা দূর হবে সহজেই। আর অলিভ অয়েল থেকে কানে সংক্রমণ ছড়ানোরও কোনও আশঙ্কা নেই।
৩) ঘরোয়া উপায়ে কান পরিষ্কার করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল লবণ জল। এতে খুব সহজেই কানের ময়লা পরিষ্কার হবে। হালকা গরম জলের সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে কানে দিন। এরপর মাথা কাত করে কয়েক মিনিট রাখুন। সহজেই ময়লা নরম হবে।
তবে এ সব ঘরোয়া উপায় এক এক জনের শরীরে এক এক রকম প্রভাব ফেলতে পারে। কারও কোনও কারণে হঠাৎ বিপদও হতে পারে। তাই কোন পদ্ধতি কার জন্য নিরাপদ, তা নিয়ে আলোচনা করে নেওয়া উচিত কোনও নাক-কান-গলার চিকিৎসকের সঙ্গে।