কিসে বাড়ে স্থূলতা ছবি: সংগৃহীত
অন্যের শরীরের আকার নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার কারও নেই। কিন্তু এ কথাও সত্য যে, অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। দেহে মেদের অনেকটাই জমা হয় পেট, জঙ্ঘা ও হাতের নীচে। এহেন অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোক, ডায়াবিটিস ও হৃদ্রোগের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিত্য দিনের হরেক অভ্যাসই বাড়িয়ে দিতে পারে স্থূলতার সমস্যা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় স্থূলতার ঝুঁকি। বিশেষ করে অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার বাড়ায় স্থূলতার আশঙ্কা। যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের ছাড়তে হবে প্রক্রিয়াজাত মাংস ও তেলে ভাজা খাওয়ার অভ্যাস।
২। অলসতা: শরীরচর্চার অভাব শরীরে মেদ জমা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। সারা দিন শুয়ে-বসে থাকলে ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। পাশাপাশি অলস জীবনযাপনে বাড়ে ওজন, কমে পেশি ও হাড়ের সক্ষমতা। দেহের মৌল বিপাক হার বা বিএমআরের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সব মিলিয়ে অনেকটাই বাড়ে পেটে মেদ বৃদ্ধির ঝুঁকি।
৩। ধূমপান: ধূমপানের ফলে শুধু ফুসফুসের ক্ষতি হয় না, শরীরে প্রবেশ করে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ। নিয়মিত ধূমপান করলে পরোক্ষ ভাবে বৃদ্ধি পায় স্থূলতার ঝুঁকি।
৪। মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরে মেদ জমার অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল দেহে যে স্নেহপদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তা শুধু ভুঁড়ি নয়, জমা হয় দেহের অভ্যন্তরের একাধিক অঙ্গেও। পাশাপাশি অ্যালকোহল শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতার ক্ষতি হয়। যা বৃদ্ধি করে স্ট্রোকের ঝুঁকিও।
৫। অসচেতনতা: এই চারটি কারণ ছাড়াও স্থূলতার অন্যতম কারণ হল সচেতনতার অভাব। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করার অভ্যাস মানুষের নতুন নয়। বিশেষ করে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।