শরীরে ডায়াবিটিস দানা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই টের পাওয়া যায় না। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগী এখন ঘরে ঘরে। এই ডায়াবিটিসের হাত ধরেই শরীরে হাজার রোগের বাসা। পরিসংখ্যান বলছে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে বিশ্ব জুড়ে ডায়াবিটিস রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৩ কোটি ৫০ লক্ষের কাছাকাছি। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামক হরমোনটি সঠিক মাত্রায় নিঃসৃত না হলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। শরীরে ডায়াবিটিস দানা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই টের পাওয়া যায় না। রক্তপরীক্ষা করিয়ে তা বুঝে নিতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা, চিনির ব্যবহারে রাশ টেনেও রক্তে শর্করার মাত্রা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে কিছু ধারণায় পরিবর্তন আনা জরুরি।
১) হঠাৎ ওষুধ বন্ধ
সকালে উঠে ডায়াবিটিসের মাত্রা কম দেখে হঠাৎই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় অনেকের। চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাসটিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতেই ওষুধ খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। শর্করা বেশি থাকলেই ওষুধ খেতে হবে এমন ধারণা কিন্তু ভ্রান্ত।
ডায়াবিটিসের সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
২) ওজন বেশি মানেই ডায়াবিটিস আছে
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবিটিসের সঙ্গে স্থূলতার সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকলেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হবে। সাধারণত রোগা বা তুলনায় কম ওজনের এমন বহু রোগী আছেন, যাঁদের শরীরে টাইপ১ ডায়াবিটিসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে।
৩) বার বার প্রস্রাব পাচ্ছে? তার মানেই ডায়াবিটিস?
প্রচণ্ড জল তেষ্টা পাচ্ছে, ঘুম থেকে উঠে বারে বারে মূত্রত্যাগ করতে যেতে হচ্ছে। সাধারণত এই লক্ষণগুলি দেখলে যে কেউ ভাবতেই পারেন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, তার চেয়েও বড় লক্ষণ হল ঘাড়, গলা, বাহুমূলের ত্বক কালচে হয়ে যাওয়া। এই লক্ষণগুলি দেখলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।