Water Fasting

৩ কারণ: মেদ ঝরানোর নানা উপায়ের মধ্যে ‘ওয়াটার ফাস্টিং’ নিরাপদ কেন?

ওজন ঝরানোর জন্য অনেকেই কিছু না খেয়ে উপোস করে থাকেন। কিন্তু জানেন কি শুধু জল খেয়েও ওজন ঝরানো যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৫০
Share:

জল খেয়েই রোগা হতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।

কিছুই খাচ্ছেন না অথচ ওজন বেড়ে যাচ্ছে। এই বেড়ে যাওয়া ওজন নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। শুধু দেখতে ভাল লাগার বিষয় নয়। দেহের ওজন নাগালের বাইরে চলে গেলে নানা রোগ বাসা বাঁধতে পারে। বাকি জীবনটুকু ওষুধের ভরসায় থাকতে না চাইলে ডায়েটের শরাণাপন্ন হতেই হয়। ওজন ঝরানোর তো নানা রকম পন্থা রয়েছে। ওজন ঝরানোর জন্য অনেকেই কিছু না খেয়ে উপোস করে থাকেন। কিন্তু জানেন কি শুধু জল খেয়েও ওজন ঝরানো যায়। পুষ্টিবিদেরা এই ধরনের উপোসকে ‘ওয়াটার ফাস্টিং’ বলেন। মেদ ঝরানোর এই পন্থা না কি অন্যগুলির তুলনায় নিরাপদও। কিন্তু বিষয়টি ঠিক কী রকম?

Advertisement

ওয়াটার ফাস্টিং’ বিষয়টি কী?

এই উপবাসে জল ছাড়া আর কিছুই খাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনাকে কেবল জল খেয়েই পেট ভরাতে হবে। এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। ওই নির্দিষ্ট সময়ে কোনও খাবার শরীরে যায় না, তাই শরীরে কোনও ক্যালোরিও ঢুকতে পারে না। অন্য কোনও ডায়েট করলে শরীরে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্যালোরি কম ঢোকে। তবে এই ডায়েটে শরীরে কোনও ক্যালোরিই যায় না। দীর্ঘ দিন এই উপোস করলে চলবে না। কারণ, কাজকর্ম চালানোর জন্য শরীরের ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। অল্প সময়ে এই উপোস করলে তবেই শরীরে বিপাকহার বাড়বে, শরীর চাঙ্গা হবে।

Advertisement

ওজন ঝরানোর জন্য অনেকেই কিছু না খেয়ে উপোস করে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত।

এই ধরনের ফাস্টিং কেন নিরাপদ?

১) ক্যালোরি নিয়ে চিন্তা থাকে না

মেদ ঝরানোর প্রথম শর্ত হল শরীরে ক্যালোরির মাত্রা বেঁধে দেওয়া। জলের কোনও ক্যালোরি নেই। অথচ খিদের সময়ে বেশ অনেকটা জল খেয়ে ফেললে কিন্তু অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে।

২) ফ্যাট অক্সিডেশন বৃদ্ধি পায়

যে পরিমাণ ক্যালোরি শরীরে যাচ্ছে, তার চেয়ে বেশি পুড়িয়ে ফেলতে পারলে, তবেই মেদ ঝরবে। যেহেতু জলের কোনও ক্যালোরি নেই। তাই এ ক্ষেত্রে শরীরে শক্তির জোগান দিতে অক্সিডেশন পদ্ধতিতে দেহের ফ্যাট পোড়াতেই হয়।

৩) হরমোনে ভারসাম্য বজায় থাকে

উপোস করে থাকলে গ্রেলিন এবং লেপটিন হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। কিন্তু জল খেয়ে উপোস করলে সেই ভারসাম্য নষ্ট হয় না। ক্যালোরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি, খিদে পাওয়া বা না পাওয়ারর বিষয়টিই নিয়ন্ত্রিত হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement