সাইনাসের ভিতরে সংক্রমণ হলে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ছবি- সংগৃহীত
প্রবল মাথাযন্ত্রণা, সারা ক্ষণ নাক-মাথায় ভারী ভাব এমনকি, ব্যথার জেরে জ্বর চলে আসা— সাইনাসের এই সমস্যাগুলির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। কখনও কাঠফাটা রোদ্দুর কখনও আবার ঝমঝম করে বৃষ্টি— মরসুম বদলের এই সময়ে সাইনাসের সমস্যা নিয়ে জেরবার হওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সামান্য নিয়মের এ দিক ও দিক হলেই এই সমস্যা মাথাচাড়া দেয়।
সাইনাস মাথার এমন একটি অংশ, যার কাজ নাকের ভিতর দিয়ে বাতাস চলাচলে সাহায্য করা। কোনও কারণে এই সাইনাসের ভিতরে সংক্রমণ হলে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তখন তীব্র মাথাব্যথা হয়। শ্বাসকষ্টও হতে পারে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রাণায়ামের উপর ভরসা রাখাই যেতে পারে।
কোন কোন প্রাণায়াম করলে সুফল মিলবে দ্রুত?
ভ্রামরি প্রাণায়াম
প্রাণায়ামটি করার সময়ে ভ্রমরের মতো গুঞ্চন হয়, তাই এই নামকরণ। দুই হাতের তর্জনি, দুই কানের উপর রাখুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে একটি গভীর শ্বাস ভিতরে টানুন। এ বার মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ার সময়ে গলা দিয়ে নিচু স্বরে একটি ‘হুম’ আওয়াজ করুন। এই প্রাণায়াম রোজ করতে পারলে মানসিক চাপ কমে, দূর হয় ক্লান্তি। স্নায়ুকে শান্ত করে।
প্রাণায়াম রোজ করতে পারলে মানসিক চাপ কমে, দূর হয় ক্লান্তি। ছবি- সংগৃহীত
ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম
জোড়ে শ্বাস নিন। তার পর শ্বাস ছেড়ে দিন সম্পূর্ণ। এ ক্ষেত্রে যতটা শ্বাস নেবেন, ততটাই ছাড়তে হবে। সুবিধার জন্য এক থেকে চার গুণতে গুণতে শ্বাস নিন এবং এক থেকে চার গুণতে গুণতে শ্বাস ছাড়ুন। তিন থেকে ছ’মিনিট এই প্রাণায়ামটি করা উচিত। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, সাইনাসের সমস্যা থাকলে এই প্রণায়াম দারুণ উপকারী। ফুসফুস শক্তিশালী হয়ে ওঠে। প্রচুর অক্সিজেন প্রাপ্ত করার ফলে হৃদ্যন্ত্র আর মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে।
অনুলোম-বিলোম
অন্যতম কার্যকর প্রাণায়াম হল অনুলোম-বিলোম। এই প্রাণায়ামটি হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের খেয়াল রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে একটি আঙুল দিয়ে এক দিকের নাক বন্ধ রেখে অন্য নাক দিয়ে শ্বাস নিন। তার পর সেই নাকটি বন্ধ করে অন্য নাকটি খুলে শ্বাস ছাড়ুন।