পুজোর আগে রোগা হওয়ার নিনজা কৌশল। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানো একটি দীর্ঘ এবং পরিশ্রমসাধ্য প্রক্রিয়া। ঝক্কিও কম নেই। শরীরচর্চা করা, পরিমিত খাওয়াদাওয়া, রোজের খাদ্যতালিকা থেকে বেশ কিছু পছন্দের খাবার বাদ দিয়ে দেওয়া— তালিকাটি দীর্ঘ। রোগা হতে অনেকে নিয়মমাফিক সে সব মেনেও চলেন। অফিসে লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠেন। এত কিছু করা সত্ত্বেও অনেকেই ওজন কমাতে ব্যর্থ হন। ফলে ধৈর্য হারিয়ে মাঝপথে রোগা হওয়ার বাসনায় ইতি টানছেন। সহজে রোগা হওয়া একটু কঠিন ঠিকই। তবে সঠিক উপায়ে জানা থাকলে অসম্ভব নয়। সামনেই পুজো। সব ধরনের পোশাকে যাতে মানানসই লাগে, তার জন্য চেহারায় বদল আনার ইচ্ছা থাকে অনেকেরই। তার জন্য ভরসা রাখতে হবে ওটসের তিন ধরনের স্মুদিতে। কী ভাবে বানাবেন সেগুলি?
স্ট্রবেরি, ওট্স ও চিয়াবীজের স্মুদি
পেটের মেদ ঝরাতে স্ট্রবেরির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে থাকা ফাইবার ওজন ঝরাতে সহায়তা করে। ক্যালোরির অনুপাত খুবই কম। ওটসে পেট ভরা থাকে অনেক ক্ষণ। স্ট্রবেরি, ভেজানো ওটস, চিয়াবীজ আর জল দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিন। দ্রুত রোগা হতে সাহায্য করবে এই পানীয়।
কলা, চকোলেট এবং ওটস
কলাতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তা রোগা হতে সাহায্য করে। ভেজে রাখা ওটস, একটি কলা, ডার্ক চকোলেটের গুঁড়ো, খেজুর একসঙ্গে মিশিয়ে ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি স্মুদি। রোজ না হলেও পুজোর আগে এক দিন অন্তর এই স্মুদি খেতে পারেন।
কলা, চকোলেট এবং ওটস স্মুদি ছবি: সংগৃহীত।
ওটস ও পেঁপে
পেঁপের মতো স্বাস্থ্যকর ফল খুব কমই আছে। এতে ক্যালোরির পরিমাণও কম। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম। এক কাপ ভেজে রাখা ওটস, এক কাপ পাকা পেঁপে, এক কাপ দুধ, বীজ ছাড়ানো খেজুর নিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তাড়াতাড়ি রোগা হতে কাজে আসতে পারে এই পানীয়।