রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পটাশিয়াম। ছবি: সংগৃহীত
পটাশিয়াম— শরীরের জন্য অন্যতম জরুরি একটি উপাদান। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই মৌল। এটি মাংসপেশি এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা সচল রাখতে সাহায্য করে। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট এবং অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এই উপদানটি। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে পটাশিয়াম।
প্রাতরাশে, দুপুরে আর রাতের খাবারে কী খাবেন সেটা ভাবতে বেশি সময় লাগে না। তবে অফিসে কী টিফিন নিয়ে যাবেন কিংবা বিকেলের নাস্তায় কী খাবেন সেটা ভাবতে গেলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে আমাদের। রইল এমন কয়েকটি পটাশিয়ামে ভরপুর রেসিপির হদিশ যা জলখাবার হিসেবে বানিয়ে ফেলতেই পারেন। খিদেও মিটবে আর শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতিও দূর হবে।
সবুজ মুগ ডালের স্যালাড: মুগ ডালে ভাল মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। রাতে সবুজ মুগ ডাল জলে ভিজিয়ে রেখে দিন। তার পর জল ঝরিয়ে রেখে দিন দু’তিন দিন। অঙ্কুর বেরোলে সেই ডালের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, শশা কুচি, লেবুর রস আর চাট মশলা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু স্যালাড।
প্রতীকী ছবি
কাবলি ছোলার চিলা: ভিজিয়ে রাখা কাবলি ছোলা বেটে নিয়ে তাতে একে একে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, সামান্য হিং আর স্বাদমতো নুন মিশিয়ে একটি তাওয়ায় পাটিসাপটার মতো অল্প তেলে সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কাবলি ছোলার চিলা।
রাজমার র্যাপ: সেদ্ধ করা রাজমার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, শশা কুচি, লেবুর রস, চাট মশলা আর স্বাদমতো নুন মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার একটি বাটিতে জল ঝরানো টকদইতে সামান্য টমেটো সস মিশিয়ে নিন। রাতের বেঁচে যাওয়া রুটিতে দইয়ের মিশ্রণ লাগিয়ে তার উপর রাজমার স্যালাড দিয়ে একটি র্যাপ তৈরি করে নিন। সন্ধের স্ন্যাকসে জমে যাবে এই পদ!