ইউটিআই-তে আক্রান্ত হলে ডায়েটে কোন কোন খাবার রাখতেই হবে? ছবি: শাটারস্টক।
মূত্রনালিতে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) সব সময়ই অতর্কিতে হানা দেয়। সংক্রমণের পর তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে বা চিকিৎসা না করালে এই রোগ একাধিক বার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এই রোগ কেবল মহিলাদের হয়, এই ধারণা ঠিক নয়। পুরুষরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
অনেকে ইউটিআই-তে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বাজারচলতি কিছু ওষুধ ও জেল ব্যবহার করতে শুরু করেন। চিকিৎসকদের মতে, এই প্রবণতা অত্যন্ত খারাপ। এতে সংক্রমণ কমে না, তার বদলে তা অনেক সময় শরীরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। ওষুধ বন্ধ করার কিছু দিনের মধ্যেই প্রবল ভাবে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রথম থেকেই এই অসুখের সময় বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। ডায়েটে কিছু বদল এনে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারি।ইউটিআই-তে আক্রান্ত হলে ডায়েটে কোন কোন খাবার রাখতেই হবে?
পরিমিত জল খান: ইউরিন ইনফেকশন হলে কিংবা ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা থাকলে শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয়, সে বিষয় নজর রাখুন। প্রস্রাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে দিনে অন্তত আড়াই লিটার জল খাওয়া শুরু করা উচিত। সাধারণত প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে জলের পরিমাণ আরও বাড়াতে হতে পারে। খুব বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখবেন না, এতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মূত্রনালিতে সংক্রমণ হলে তা কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। ছবি: শাটারস্টক।
প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার খান: এই সময় প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এই প্রকার খাদ্য ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। দই প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। দই খেলেও উপকার পেতে পারেন।
বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন: মূত্রনালিতে সংক্রমণ হলে তা কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই দ্রুত এর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে বেকিং সোডা দ্রুত মূত্রনালিতে সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধ চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস জলে ভাল করে মিশিয়ে দিনে এক বার করে খেলেই প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা ভাব কমে যেতে পারে। তবে বেশি মাত্রায় বেকিং সোডা শরীরের ক্ষতি করতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।