ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকাল মানেই ইলিশ, খিচুড়ি আর তেলেভাজা। আবার, ব্যাক্টেরিয়াজনিত রোগ, পেটখারাপ, জ্বর-সর্দিও এই মরসুমেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি ভাল করতে জোর দেন চিকিৎসকেরা। তার জন্য দোকান থেকে গাদাগুচ্ছের ভিটামিন বা খনিজ সমৃদ্ধ ওষুধও খান অনেকে। তবে এ সবের সঙ্গে যদি একটু গোলমরিচ খাওয়া যায়, তাতে আসলে উপকারই হবে। আয়ুর্বেদেও এই মশলার গুণের কথা বলা হয়েছে। তবে বছরে এক-আধ বার মশলা হিসাবে গোলমরিচ খেলে হবে না। খেতে হবে নিয়ম করে।
গোলমরিচ খেলে কোন কোন রোগ বশে থাকে?
১) বর্ষাকালে যে হেতু ব্যাক্টেরিয়া বাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। তা ঠেকিয়ে রাখতে গেলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল না হলে মুশকিল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর গোলমরিচ কিন্তু সেই কাজে সাহায্য করে।
২) চট করে ঠান্ডা লেগে যায়। সর্দিকাশির ধাত থাকলে তো কথাই নেই। তবে গোলমরিচের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ কিন্তু শ্বাসযন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
৩) বৃষ্টি পড়লেই তো নানা রকম মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছে করে। ভাজাভুজি, খিচুড়ি, বিরিয়ানি— কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন বুঝে উঠতে পারেন না। আর এই সব খাবার খেয়ে পেটের গোলমাল বাধে। হাতের কাছে যদি গোলমরিচ থাকে, তা হলে এই সমস্যা সহজেই মোকাবিলা করা যায়।
কী ভাবে খাবেন গোলমরিচ?
অনেকেই চায়ের মধ্যে আদা, দারচিনি মিশিয়ে খান। সেই সঙ্গে কয়েক দানা গোলমরিচও ফেলে দিতে পারেন। উপকারই হবে। স্যালাড, সেদ্ধ সব্জি, স্যুপের উপর গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে খেতে পারেন। কিংবা পাউরুটি সেঁকে মাখন মাখিয়ে উপর থেকে এক চিমটে গোলমরিচ ছড়িয়ে খাওয়া যায়।