—প্রতীকী ছবি।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। বেশির ভাগ মহিলার পছন্দ হরমোন ‘পিল’। কেউ কেউ আবার জরায়ুর মধ্যে অস্থায়ী ভাবে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করেন। চলতি বছর এপ্রিল মাসে তেমনই একটি ‘কয়েল’ প্রতিস্থাপন করিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বাসিন্দা এক তরুণী। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
জরায়ুতে ‘কন্ট্রাসেপটিভ কয়েল’ প্রতিস্থাপনের সপ্তাহ তিনেক পর থেকেই ওই তরুণীর শরীরে নানা রকম উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। সারা গায়ে র্যাশ, রক্তজবার মতো চোখ, মাথা যন্ত্রণা, সর্বোপরি প্রতি মাসে ঋতুস্রাব শুরু হলে মাত্রাছাড়া কষ্ট। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে, সেই রহস্য কিছুতেই উদ্ঘাটন করতে পারছিলেন না তিনি।
বছর ২৮-এর জর্জিনা জেলি প্রথমে অ্যালার্জির চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। চিকিৎসকেরাও সমস্যার উৎস খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ওষুধে সাময়িক রেহাই মিললেও প্রতি মাসে সেই অসহনীয় কষ্ট ফিরে ফিরে আসছিল। এমন বিরল সমস্যা নিয়ে নিজেই এক দিন পড়াশোনা করতে শুরু করেন। জর্জিনার সঙ্গীও তাঁকে মনে করিয়ে দেন, তাঁর এই কষ্ট কিন্তু ঋতুস্রাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। শেষমেশ স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় ওই তরুণীকে।
তিনি জানান, আসল গোলমাল বেধেছে জন্ম নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রাংশটি থেকে। ধাতব ওই যন্ত্রটি জর্জিয়ার শরীরের জন্য যে উপযুক্ত নয়, সে কথা চিকিৎসকেরাও বুঝে উঠতে পারেননি। স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের পরামর্শে জর্জিয়ার জরায়ু থেকে ওই যন্ত্রাংশটি বার করে নেওয়ার পর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান জর্জিয়া।