— প্রতীকী চিত্র।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ফলে ইদানীং কমবয়সিদের মধ্যেও ডায়াবিটিস হানা দিচ্ছে নিঃশব্দে। পরবর্তী কালে এই রোগের সূত্র ধরেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। রক্তপরীক্ষা না করালে শরীরে ডায়াবিটিস বাসা বেঁধেছে কি না, তা বুঝে ওঠা মুশকিল। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, যে কোনও রোগ শরীরে হানা দিলে তার কিছু লক্ষণ শরীরে ফুটে ওঠে। তাই রক্তপরীক্ষা করার আগেই সেগুলি দেখে সচেতন হওয়া যায়। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রেও ত্বকে তেমন কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। জানেন, সেগুলি কী?
১) ত্বক
গলা, হাত, ঘাড় বা পিঠের চামড়া কি অতিরিক্ত খসখসে হয়ে পড়েছে? বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই লক্ষণ কিন্তু রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কারও ক্ষেত্রে চামড়ার উপরের স্তর তুলনামূলক ভাবে পুরু হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ত্বকে সামান্য র্যাশ, অ্যালার্জি বা ছোটখাটো কোনও চোট-আঘাত বিরাট আকার ধারণ করতে পারে ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে। সেখান থেকেও ত্বকে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।
২) চোখ
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তা রেটিনার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত রক্তজালিকাগুলির ক্ষতি করে। ফলে দেখতে সমস্যা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় একে ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’ বলা হয়।
৩) পায়ের পাতা
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় সব চেয়ে বেশি। যার ফলে দেহের রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। বিশেষ করে পায়ের নিম্নাংশে এর প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় ‘ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি’। পা, পায়ের পাতায় রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হলে প্রথম দিকে ঝিঁঝিঁ ধরা এবং সেখান থেকে পা ক্রমশ অবশ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।