গবেষণা জানাচ্ছে, পুরুষ ৪০-এর কোঠা পেরোলেই যৌনাঙ্গের মাপে বদল আসে। প্রতীকী ছবি।
যৌনাঙ্গের মাপ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকেন অনেক পুরুষই। সঙ্গমের সময়ে সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দ নিয়েও সংশয়ে থাকেন অনেকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অঙ্গের মতো পুরুষের যৌনাঙ্গেও একটা পরিবর্তন আসে। কিন্তু বয়স বা়ড়লেও যৌন চাহিদা কমে যায়, তেমন নয়।
গবেষণা জানাচ্ছে, পুরুষ ৪০-এর কোঠা পেরোলেই যৌনাঙ্গের মাপে বদল আসে। তাই পুরুষরা যৌনাঙ্গের আকার বড় করার জন্য অস্ত্রোপচারের পথে হাঁটছেন। সম্প্রতি এক জন চিকিৎসক এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন।
ইদানীং ‘স্ক্রোটাল ওয়েবিং সার্জারি’ নামে পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর এই অস্ত্রোপচারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সমীক্ষা জানাচ্ছে, কোভিডের পর থেকে যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য নিয়ে অতিমাত্রায় সচেতন হয়ে পড়েছেন। লকডাউন চলকালীন গৃহবন্দি অবস্থায় সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন বেশির ভাগ। এর আগে ব্যস্ততাময় জীবনে সঙ্গমের তৃপ্তি কিংবা এই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতেন না অনেকেই। কিন্তু লকডাউনে তুলনায় কাজের চাপ কম থাকায় এবং পুরো সময়টা সঙ্গীর সঙ্গে কাটানোর ফলে তলিয়ে ভাবার সুযোগ পেয়েছেন। তার পর থেকেই এই ধরনের অস্ত্রোপচারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে।
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, এই অস্ত্রোপচারটি করতে ১ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে না এবং অস্ত্রোপচারের তিন দিনের মধ্যে সুস্থ হওয়া সম্ভব। মূলত আমেরিকাতে এই অস্ত্রোপচারের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি।
শুধু যৌনাঙ্গের আকার বদলানো নয়। এই অস্ত্রোপচার পুরুষাঙ্গের আরও অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। অণ্ডকোষে অনেক সময়ে বাড়তি মাংসপিণ্ড তৈরি হয়, যার ফলে শুধু সঙ্গম নয়, প্রস্রাবের সময়েও ব্যথা এবং অস্বস্তি হয়। তেমন কিছু সমস্যার চটজলদি সমাধান হতে পারে এই অস্ত্রোপচার।
তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিগত ৩০ বছরে জৈবিক প্রক্রিয়ায় পুরুষদের গোপনাঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে অনেকটাই বেড়েছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে, ১৯৯২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে ২৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। লিঙ্গ বেড়ে গড়ে ৪.৮ ইঞ্চি থেকে ৬ ইঞ্চি হয়েছে। সমীক্ষাটি ১৪ ফেব্রিয়ারি ‘দ্য ওয়ার্ল্ড জার্নাল অফ মেন্স হেলথ’- এ প্রকাশিত হয়। ১৯৪২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা থেকে নথি নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে।