প্রতীকী ছবি।
শরীরচর্চা, ডায়েট, অফিসে লিফ্টে ওঠার বদলে সিঁড়ি ভাঙা— দীর্ঘ দিনের চেষ্টায় ওজন যদিও বা কমানো যায়, পেটের মেদ কিছুতেই ঝরতে চায় না। ভুঁড়ি যে শুধু পুরুষের হয়, তা তো নয়। মহিলারাও পেটের মেদ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকেন। পছন্দের পোশাকও এই ভুঁড়ির কারণে ঠিক করে আঁটে না। ডায়েট কিংবা শরীরচর্চা করে পেটের মেদ কমাতে কালঘাম ছুটে যায়। অনেকে আবার নিয়ম করে হাঁটতেও যান। তাতেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। তবে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না, বরং সমাধানের অন্য পথ খুঁজতে হবে। সব চেষ্টা যদি বিফলে যায়, তা হলে ভরসা রাখতে পারেন তিন পানীয়তে। আরও পরিষ্কার করে বললে, তিন প্রকার চায়েই লুকিয়ে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের মেদ কমানোর মন্ত্র।
আদা চা
অফিস থেকে ফিরে হঠাৎ মাথাব্যথা শুরু হলে আদা চায়ে চুমুক দিলে খানিক স্বস্তি পাওয়া যায়। তবে এই চা কিন্তু পেটের মেদও ঝরাতে পারে। আদায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা চর্বি গলাতে সাহায্য করে। এই চায়ে আদা ছাড়াও মধু এবং লেবু কুচি করে দিলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। সপ্তাহে ৩ দিন খেলেই হবে।
কাওয়া
কাশ্মীরে এই চা বেশ বিখ্যাত। বাড়িতেও বানিয়ে নেওয়া কঠিন নয়। গ্রিন টি, মধু, দারচিনি, লবঙ্গ, কেশর, কাঠবাদাম, গোলাপের পাঁপড়ি— কয়েকটি চেনা উপকরণ দিয়েই বানিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে এই চা তিন-চার মিনিটের বেশি ফোটাবেন না। তা হলে চায়ের স্বাদ, গন্ধ এবং উপকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রোজ কাশ্মীরী কাওয়া খাওয়ার দরকার নেই। পেট গরম হতে পারে। মাঝেমাঝে খেলেই সুফল পাবেন।
গ্রিন টি
ওজন বশে রাখতে অনেকেই গ্রিন টি খান। তবে নিয়মিত যদি খেতে পারেন, তা হলে ভুঁড়িও কমে যেতে পারে। পেটের মেদ কমাতে যদি গ্রিন টি খান, তা হলে দিনে দু’বার খেতে হবে। আর ঠান্ডা করে খাবেন না। গরম থাকতে থাকতেই খেয়ে নিতে হবে।