ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাবে ভিটামিন ডি। ছবি: সংগৃহীত
শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে যে উপাদানগুলির নিয়মিত জোগান প্রয়োজন, ভিটামিন ডি তার মধ্যে অন্যতম। হাড় শক্তিশালী করা থেকে শুরু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো— ভিটামিন ডি-র জুড়ি মেলা ভার। চিকিৎসকরাও ভিটামিন ডি আছে, এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেকে সে কথা মেনেও চলেন। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি যাতে তৈরি না হয়, তাই অনেকে আবার ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টেও খান। তবে সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণা ভিটামিন ডি-এর একটি নতুন গুণ খুঁজে পেয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি খেলে কমতে পারে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি। ভিটামিন ডি-র সঙ্গে ডায়াবিটিসের একটি যোগসূত্র অনেক দিন আগেই খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। টাফ্টস মেডিক্যাল সেন্টার’-এর গবেষকদের করা গবেষণা সেই সম্ভাবনায় একটা সিলমোহর দিল।
ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এড়াতে বেশি করে ভিটামিন ডি খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। ছবি: সংগৃহীত
ভিটামিন ডি-র সমৃদ্ধ উৎস হল সূর্যালোক। তা ছা়ড়া বেশ কিছু খাবার থেকেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে, তা অজানা ছিল অনেকেরই। বিশেষ করে যাঁরা ইতিমধ্যে প্রি-ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। রক্তে শর্করার মাত্রা সামান্য বেশি হলেও তাকে প্রি-ডায়াবিটিস বলে। কিন্তু এই শর্করার পরিমাণ যখন মাত্রাছাড়া হয়, সেই অবস্থাকে টাইপ ২ ডায়াবিটিস বলে। ভিটামিন ডি শর্করার পরিমাণ বিপদসীমার বাইরে রাখে।
‘অ্যানাল অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’ শীর্ষক একটি মেডিক্যাল পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য বলছে, শরীরের ভিটামিন ডি-র মাত্রা কমে গেলে নানা শারীরিক সমস্যার দেখা দিতে শুরু করে। ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সেই ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত ভিটামিন ডি খাওয়া শুরু করা জরুরি। কিন্তু সেই মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলেই মুশকিল। হিতে বিপরীত হতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এড়াতে বেশি করে ভিটামিন ডি খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। ভিটামিন ডি-র স্বাস্থ্য উপকারিতা বহু। তবে দিনে ঠিক কতটা পরিমাণ ভিটামিন ডি খাবেন, তা কোনও চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।