কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে কয়েকটি পানীয়। ছবি: সংগৃহীত
কোলেস্টেরল আসলে মোমের মতো এক ধরনের ফ্যাটি পদার্থ। যা তৈরি হয় যকৃত থেকে। লাইপোপ্রোটিনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে কোলস্টেরল। স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে কোলেস্টেরল। কিন্তু শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেলে, তা কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা এলডিএল হয়ে যায়। তখনই কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর হয়ে যায়। রোজের খাদ্যতালিকায় যদি অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় এবং কোনও রকম শরীরচর্চা করা না হয়, তা হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার, চিপস্, ভাজাভুজি এড়িয়ে চলবেন তো বটেই। সেই সঙ্গে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে কয়েকটি পানীয়। এই পানীয়গুলি আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
১) টম্যাটোর রস: টম্যাটোর লাইকোপিন শরীরে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে এবং লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। রোজ আধ কাপ করে টম্যাটোর রস খেতে পারলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
২) কমলালেবুর রস: কমলালেবুর রস খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতি দিন দু’কাপ করে কমলালেবুর রস খান, তাঁদের কোলেস্টেরল হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। কমলালেবু শুধু কোলেস্টেরল নয়, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
৩) বেরি স্মুদি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরির মতো ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইবার। কম ফ্যাট যুক্ত দুধের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বেরি মিশিয়ে তৈরি করে নিন স্মুদি। সপ্তাহে ৩ দিন এটি খেতে পারেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।