কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তা হলে ভরসা রাখতে পারেন রসুনে। ছবি: সংগৃহীত
অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে শরীরে বাসা বাঁধে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল। অনেকের ধারণা চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। ধরা যাক কেউ যদি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন, তা হলে তাঁর কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ দিকে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তপ্রবাহের মধ্যেও সঞ্চিত হয়। রক্তপ্রবাহ সরু ও শক্ত হয়ে ওঠে। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল কোলেস্টেরল। অন্তত হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
কোলেস্টেরলে ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রাথমিক কাজ। সঠিক ভাবে সেই পরামর্শ মেনে চলাও জরুরি। তবে ঘরোয়া উপায়ে যদি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তা হলে ভরসা রাখতে পারেন রসুনে। আমিষ রান্নার অন্যতম এই উপকরণ কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে লড়তেও সক্ষম। স্থূলতার মতো সমস্যা কমাতেও কিন্তু রসুনের জুড়ি মেলা ভার।
রসুনে থাকা উপকারী উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’-এর গবেষণায় বলা হয়েছে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে রসুন বেশ উপকারী। নিয়মিত রসুন খেলে প্রায় ৭ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমতে পারে। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ‘হাইপারকোলেস্টেরলেমিক’-এ আক্রান্ত পুরুষরা রসুন খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়।
অন্য আরও একটি গবেষণা বলছে, দু কোয়া রসুনে পর পর ছয় সপ্তাহ খেলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
তবে কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। রসুন খাবেন কি না, সে ব্যাপারেও চিকিৎসকের মত নেওয়া জরুরি। রসুন ওষুধের বিকল্প হতে পারে না। সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি।