সুস্বাস্থ্যের জন্য ভাল খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের পাশাপাশি রাতের ঘুম ভাল হওয়াও প্রয়োজন। ছবি সংগৃহীত
সুস্বাস্থ্যের জন্য ভাল খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের পাশাপাশি রাতের ঘুম ভাল হওয়াও প্রয়োজন। রাতে ঠিকঠাক ঘুম না হলে শরীরে ক্লান্তি আসে। কাজের ইচ্ছা চলে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অনিদ্রার কারণ হল মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত জীবনযাত্রা। দীর্ঘকাল ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে তা থেকে তৈরি হতে পারে হতাশা এবং উদ্বেগ। কেউ কেউ তো অনিদ্রা দূর করার জন্য চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়াই ঘুমের ওষুধ পর্যন্ত খেয়ে থাকেন। যা বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
যদিও অনিদ্রার সমস্যায় চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তবে জীবনধারায় সাধারণ কিছু পরিবর্তন এনেও অনিদ্রা দূর করা সম্ভব!
ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু যোগাসন আয়ত্ত করতে পারলেই মিলতে পারে অনিদ্রা থেকে মুক্তি।
প্রতীকী ছবি
কোন কোন আসন করতে পারেন অনিন্দ্রার সমস্যায় ভুগলে?
বলাসন: শিরদাঁড়া অনেক ক্ষণ সোজা রেখে বলাসন করলে শিরদাঁড়া, ঘাড় ও কাঁধে খুব আবাম বোধ হয়। শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় ফলে ভাল ঘুম হয়। হাঁটু মুড়ে বসুন। হাঁটু দু’টি জড়ো করে রাখবেন না। এ বার হাত সামনের দিকে নিয়ে যান। খেয়াল রাখবেন, কনুই থেকে যেন মাটির সঙ্গে লেগে থাকে। এ বার মাথা ঝুঁকিয়ে শরীরের উপর ভাগ দুই উরুর মাঝে সামনের দিকে এগিয়ে দিন। লম্বা লম্বা শ্বাস নিন।
শবাসন: যোগচর্চার শেষে সেরা আসন শবাসন। এই আসনের ফলে মনোসংযোগ বাড়ে। এর ফলে সহজে ঘুম আসে। শুয়ে পড়ুন। হাত দু’টি শরীরের দু’পাশে রাখুন। হাতের তালু উপর দিকে খোলা থাকবে। চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। যতক্ষণ পারবেন, এ ভাবে শান্ত ভাবে থাকুন।
পদ্মাসন: ধ্যান কার জন্য এই আসন আদর্শ। এই ভঙ্গি মনকে শান্ত করে। দিনে ১৫ মিনিট এই ভঙ্গিতে ধ্যান করতে পারলেই আপনার উদ্বেগ ও হতাশা অনেকটা কমবে। পদ্মাসনে বসে পিঠ সোজা রেখে, কাঁধ একটু পিছনের দিকে টান টান করে রাখুন। এ বার হাত হাঁটুর উপর রেখে ৪-৫ মিনিট গভীর শ্বাস নিন।
পশ্চিমোত্তাসন: কোমর, হ্যামস্ট্রিং ও শিরদাঁড়ার ব্যথার জন্য এই আসন বেশ উপকারী। পা দু’টি সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। হাত দু’পাশে রেখে শরীরের উপর ভাগ ধীরে ধীরে সামনের দিকে পায়ের কাছে ঠেলে দিন। ৫-১০ বার গভীর শ্বাস নেওয়ার পর কোমর, হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করবেন।