অকালবার্ধক্যে একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। ছবি: সংগৃহীত।
বার্ধক্য অনিবার্য। কালের নিয়মে তা আসবেই। কিন্তু প্রাত্যাহিক জীবনযাপনের চালচিত্রের উপর মূলত নির্ভর করে, বার্ধক্য ঠিক কত তাড়াতাড়ি হানা দেবে শরীরে। বেশ কিছু অভ্যাস অকালে বার্ধক্য ডেকে আনে। অল্পেতেই বার্ধক্য হানা দিয়েছে কি না, তা বুঝতে কিছু লক্ষণ জেনে রাখা দরকার। ত্বকে বলিরেখা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, পেশির ক্ষয়, নিস্তেজ ত্বক, ক্লান্তি— এই লক্ষণগুলি মূলত বার্ধক্যের ইঙ্গিত দেয়। অকালবার্ধক্যে একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে অজান্তেই এমন কিছু ভুল হয়ে যায়, যে বয়সের আগেই শরীরে তার ছাপ পড়ে। তাই সেগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
হাঁটাচলা করুন
বাড়ি থেকে কাজ বা অফিসে গিয়ে, বসে কাজ করতেই অভ্যস্ত অধিকাংশ মানুষ। সারা দিন এক ভাবে বসে থাকার ফলে শরীরের সঠিক ভাবে রক্ত চলাচলে ঘাটতি পড়ে। ফলে অকালেই শরীরে বয়সের ছাপ এসে যায়। তা-ই শুধু নয়, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যার ঝুঁকিও বাড়ায় সারা ক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস।
বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা
খিদে পেলেই পেট ভর্তি করছেন পিৎজ়া, বার্গার, চিপসের মতো খাবার খেয়ে। এই ধরনের খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ ভরপুর। খাবারগুলিতে ক্যালোরির পাশাপাশি রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, শর্করা, খারাপ কোলেস্টেরলের মতো ক্ষতিকর উপাদান। দীর্ঘ দিন তারুণ্য ধরে রাখতে লাগাম টানুন এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসে।
অপর্যাপ্ত ঘুম
অপর্যাপ্ত ঘুম একাই সময়ের আগে বার্ধক্য ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন। এর চেয়ে কম ঘুমোলে অল্প বয়সে শরীরে পড়তে পারে বয়সের ছাপ।